নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিপিএল নিয়ে মাতামাতি। সার্বজনীন এক উচ্ছাস বইছে সিলেট জুড়ে। প্রথমবারের মতো সিলেটের মাঠিতে এ মহা ক্রিকেটযজ্ঞ। এশিয়ার নান্দনিক, আধুনিক শৈল্পিক নির্মাণে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সৌরভ ছড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর ম্যাচ। বিপুল-উৎসাহ আবহ চারিদিকে। সিলেট জুড়েই সীমাহীন ধূমধাম এক পরিবেশ। জাতীয় ও স্থানীয় নানা বঞ্চনা, আর অঘটন আড়াল করে বিপিএল হয়ে গেছে বিনোদনের মহাপুঁজি। সেখানে আনন্দ বিনোদনের সম্ভার খুঁজে বেড়াচ্ছে নিরংকুশ জনতা। সকলের মন-মগজ সচেতন ভাবে নিবন্ধিত বিপিএল ঘিরে।
এই বিপিএল সরকারের জন্য অনবদ্য সাফল্য গাথাঁ হিসাবে ধরা দিতে পারতো। সরকার সংশ্লিষ্ট স্থানীয়রা হয়তো সেই, পরিবেশ পরিস্থিতি সামনে রেখে বিপিএল নিয়ে এসেছিলেন সিলেটের মাঠিতে। সেকারনে বিপিএল এর পঞ্চম আসর এখন সিলেটে। তাই সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনেছেন শাহেদ মুহিত। তিনি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের পুত্র। তার ঐকান্তিক চেষ্টায় সিলেটে আজকের বিপিএল। সিলেট সিক্সার্সের চেয়ারম্যান তিনি। উদ্ভোধনী ম্যাচের পর কাল দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পায় স্বাগতিক সিলেট। উদ্বোধণী দিনে মাঠে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন শাহেদ মুহিত। গ্যালরিতে সবা হাজারো দর্শকের মুহূর্মুহু করতালীতে সিক্ত হন তিনি। উল্লাস আর আনন্দের ঢেউ স্টেডিয়ামে আঁচড়ে পড়ে। কিন্তু উচ্ছ¡াসে একাকার হতে পারেনি টিকেট বঞ্চিত বিপুল ক্রিকেটপ্রেমি।
শুরুতেই টিকিট অব্যবস্থাপনায় বির্তকিত হয়ে উঠে আয়োজন সংশ্লিষ্টরা। সাফল্য ধারার জন্য তা মোটেই খোশ-খবর হয়নি। শুরুতেই ভালোর মানে অর্ধেকটাই শেষ! যে কারনে বিসিবি স্থানীয় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কানাঘুষা শুরু করে। সার্বজনীন ক্রিকেট উৎসবের ব্যবস্থাপনা দলীয় করনের মধ্যে দিয়ে বলয়করনে গিয়ে টিকে। তাই ভেতরে বাইরে আওয়াজ উঠে বঞ্চনা আর, ক্ষোভের। এর মূলে টিকিট সিন্ডিকেট। গুটিকয়েক বিসিবি সংশ্লিষ্ট স্থানীয় অর্থলোভী, বিনোদনের শ্রেষ্ট সুযোগকে কুক্ষিগত করে পকেট ভারী করতে যেয়ে ক্রিকেট উৎসবকে উৎকন্ঠায় ঢেকে রাখে। তাই এমন সুষ্ট ব্যবস্থাপনায়ও টিকিট কালোবাজারি ঠেকানো যায়নি। টিকিট বঞ্চিতদের সংখ্যা হিসাবের বাইরে। দুধের স্বাদ ঘোলে মেঠাতে বড়পর্দায় ক্রিকেট যুদ্ধ উপভোগের আয়োজন করেছে নগরীর বিভিন্ন সংগঠন। ধনী-গরীর নির্বিশেষে সবাই এক কাতারে স্বাদ নিচ্ছেন সাকিব-নাসিরদের লড়াইয়ের। এরকম দু’টি বড় পর্দার খোঁজ মিললো নগরীর ধোপাদিঘীর উত্তরপাড়স্থ দৈনিক শুভ প্রতিদিন কার্যালয়ের পূর্বপার্শ্বের মাঠে এবং নগরীর চন্দনটুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই দু’টি বড়পর্দাই একসূত্রে গাঁথা। দু’টি স্থাপনের পিছনের কারিগররা হচ্ছেন রোটারী ক্লাব অব সিলেট গ্যালাক্সী পরিবারের সদস্যারা। টিকেট প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই তাদের ব্যক্তিগত আর্থিক সহযোগিতায় সকলের জন্য আয়োজন করা হয়েছে বড় পর্দায় বিপিএল টি-২০ দর্শনের। এরকম উদ্যোগ অন্যরা করেছেন। কিন্তু টিকেট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা ডিজিটালময় করতে পারলে, বিপিএল আনন্দ হতো সার্বজনীন। সীমাবদ্ধ টিকেটের শৃংখল বিক্রয় নিশ্চিত এর মাধ্যমে ফুটে উঠতো সরকারের সাফল্যের কৃতিত্ব। যা সরকারে থলিকে করতো আরো সমৃদ্ধ। কিন্তু সরকারে ছায়ায়, মায়ায় থেকেও তা করতে পারেননি স্থানীয় বিসিবি সংশ্লিষ্টরা। তবে তারা যে ব্যক্তি স্বার্থের ষোলকলাপূর্ণ করছেন, এ বিষয়টি সকলের নিকট পরিষ্কার। যদি তেমন না হতো, তাহলে শাহেদ মুহিত শুধু করতালিতে সিক্ত হতেন না, হতো বিসিবি, সেই সাথে সরকারও। কিন্তু তা হতে দেয়নি, ওরা। ওরা তারাই, যারা ঘরের শক্র বিভীষন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।