নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেট মানেই যেন উপমহাদেশের রাজত্ব। এখন যদিও সার্বজনীন একটা ব্যাপার এসেছে, তবে সবকিছুতেই যেন এশিয় একটা গন্ধ না পেলে তাতে ঠিক উত্তেজনা আসে না। আর সেই উত্তেজনার পারদ সবচেয়ে বেশি হয় বুঝি পাকিস্তান আর ভারতের লড়াইয়ে। বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটপাগল দর্শকদের কাক্সিক্ষত সেই ক্ষণ আজ। টি-২০ বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসরের এই ম্যাচের পারদ এখন ঊর্ধ্বমুখী। সবাই চাইছে যেন সরাসরি মাঠে গিয়ে তারা এই ম্যাচের সাক্ষী হতে পারে। কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব নয়। তবে এটা মানতে নারাজ ক্রিকেটপ্রেমীরা। তাদের প্রত্যেকেরই চাই টিকিট। আর না পেলেই তারা শুরু করছেন হাঙ্গামা।
দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে পাক-ভারত ম্যাচ নিয়ে যে হইচই হবে এটা তো জানা ছিল আগেই। তবে এতটা যে হবে, তা কল্পনায় ছিল না। এই ম্যাচ মাঠে বসে উপভোগ করার জন্য টিকিট-প্রত্যাশীদের ভিড় লেগে ছিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই। ক্লাব হাউসের বাইরে প্রচুর লোকের সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। তবে এদের সকলেই যে টিকিট-প্রত্যাশী তা বুঝে উঠতে কিছুটা সময় লেগেছে। এরা গত বুধবার থেকেই টিকিটের জন্য মোহামেডান ও ইডেন টিকিট কাউন্টার চষে বেড়াচ্ছেন। ব্যর্থ হয়ে শেষ অবধি জড়ো হনে ক্লাব হাউসের সামনে। তবে টিকিট যে অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে তা জানতেন না অনেকেই। আর টিকিটের সংখ্যা মাত্র ৬ হাজার।
শেষ অবধি টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা পাকিস্তান টিমকে দেখামাত্রই বিক্ষোভ শুরু করে দেন। এমনিতেই পাকিস্তান দলকে কঠোর নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। তার ওপর এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা দ্বিগুণ করে দেয়া হয়। আর সব কিছু সামাল দিতে পুলিশ দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
তবে পরে আরেক দফায় ঝামেলার উৎপত্তি হয়। এবার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) সদস্যরাও টিকিটের জন্য ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে দাঁড়িয়ে থেকে যখন টিকিট পাননি তখন সিএবির কর্তাব্যক্তিদের দরজার কড়া নেড়েছেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। কর্তারাও এক্ষেত্রে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। সব মিলিয়ে এক অরাজকতার সৃষ্টি হয়। এক সকালেই এতসব ঘটনা ঘটেছে। সকাল গড়িয়ে দুপুরে অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। যে সংস্থা টিকিট বণ্টনের দায়িত্বে ছিল তারা অপেক্ষমাণ প্রায় ৩০০ টিকিট প্রার্থীকে বলে দেন টিকিট শেষ। এরপরই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ভাঙচুর শুরু করেন। অবস্থা প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে গেলে আবারও পুলিশ নামিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। এরপর প্রায় ২ ঘণ্টা পর টিকিট বণ্টন প্রক্রিয়া চালু হয়। তবে কাউন্টারে টিকিট না পাওয়া গেলেও বø্যাকে কিন্তু ঠিকই টিকিট বিক্রি হচ্ছিল। যেখানে ৫০০ টাকার টিকিটের মূল্য হাঁকানো হচ্ছিল ২৫০০ টাকা।
আসলে এদিন ম্যাচের পাশাপাশি যে বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে; তাতেই টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় উপচে পড়ছে। কেননা, বলিউডের সুপার স্টার অমিতাভ বচ্চনও যে উপস্থিত থাকবেন সেদিন। সেই সঙ্গে থাকবেন ইমরান খান ও শচিন টেন্ডুলকারের মতো কিংবদন্তিরাও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।