Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মিয়ানমারের বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের ঔদ্ধত্যের শেষ কোথায়?

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৭, ৯:১২ পিএম

‘বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি’ আমি বুদ্ধের শরণ নিলাম; বোধি লাভ জীবনের মুখ্য উদ্দেশ্য। বুদ্ধত্ব মানে পূর্ণ সত্য-পবিত্রতা-চরম আধ্যাত্মিক জ্ঞান। বৌদ্ধ ধর্ম হচ্ছে মহামতি গৌতম বুদ্ধের ধর্ম বিশ্বাস-জীবন দর্শন। বৌদ্ধ ধর্মে মূল কথা যথাক্রমে ‘অহিংসা পরম ধর্ম’ ‘জীব হত্যা মহাপাপ’ ও ‘সংসার ত্যাগ করো’। আক্ষরিক অর্থে ‘বুদ্ধ’ বলতে একজন জ্ঞানপ্রাপ্ত, উদ্বোধিত, জ্ঞানী, জাগরিত মানুষকে বোঝায়। মহামতি গৌতম বুদ্ধের কোন আদেশ-নির্দেশনা মানছে মিয়ানমারের শাসক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা? ‘জীব হত্যা মহাপাপ’ অথচ রাখাইন রাজ্যে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা চালাচ্ছে। রোহিঙ্গা হত্যা কী ‘মহাপূণ্য’! মিয়ানমারে ‘অহিংসা পরম ধর্ম’ বাণী যেন হয়ে গেছে ‘রোহিঙ্গা হত্যাই পরম ধর্ম’। আর ‘সংসার ত্যাগ করো’ বাণীকে চুকিয়ে মিয়ানমারের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা ‘সংসার শুধু নয়; ক্ষমতা ভোগ করো, ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে অন্য ধর্মাবলম্বীদের কচুকাটা করো’ নীতিতে নেমেছে। মূলত গৌতম বুদ্ধের বাণী মিয়ানমারে ‘নীরবেই কাঁদছে’। প্রশ্ন হলো মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন বৌদ্ধদের সন্ত্রাস-তা-ব এবং ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুরতা কতদিন চলবে? শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সুচির প্রতি নির্যাতিত এবং দেশহারা রোহিঙ্গা মুসলিমরা তো নয়ই; বিশ্ব সম্প্রদায়ও আস্থা রাখতে পারছে না কেন? শান্তিতে নোবেল পাওয়া সুচির জামানায় কেন এই অশান্তি?
‘জীব হত্যা মহাপাপ’ অথচ মিয়ানমারের বৌদ্ধরা অব্যাহতভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে। সংসার ধর্ম ত্যাগ করার বদলে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নিতে গণহত্যায় সব বুদ্ধিষ্ট এক কাতারবদ্ধ হয়ে গেছে। বাস্তবতা হলো নির্যাতিত বিতাড়িত রোহিঙ্গা মুসলমানরা আরাকানের ভূমিপুত্র; তাদের রয়েছে গৌরবময় অতীত। ১৩৫টি জাতি-গোষ্ঠীর দেশ আরাকান এখন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বন্দুকরে নলে শাসিত হলেও আরাকানের রাজারা সব সময় মুসলিমদের গুরুত্ব দিতেন এবং নিজেরা মুসলমান উপাধি গ্রহণ করতেন। রাখাইনের (আরাকান) রাজদরবারে অনেক মুসলমান গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। ১৪০৬ সালে আরাকানের রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা নরমিখলা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে বাংলার রাজধানী গৌড়ে আশ্রয় নেন। গৌড়ের শাসক জালালুদ্দিন শাহ বর্মী রাজাকে উৎখাতে নরমিখলারকে ৩০ হাজার সৈন্য দেন। রাজ্য উদ্ধারের পর রাজা নরমিখলা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং মোহাম্মদ সোলায়মান শাহ নাম ধারণ করে আরাকানের সিংহাসনে বসেন। ওই রাজবংশ ১০০ বছর আরাকান শাসন করে। মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যচর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল আরাকানের রোসাং রাজদরবার। মহাকবি আলাওল ওই দরবারের রাজকবি ছিলেন। তিনি লিখেছিলেন বাংলা সাহিত্যের অমর মহাকাব্য পদ্মাবতী। এ ছাড়া সতী-ময়না ও লোর-চন্দ্রানী, সয়ফুলমুলক, জঙ্গনামা কাব্যগুলো রচনা করেন রোসাং রাজদরবারের পৃষ্ঠপোষকতায়। ষোড়শ শতকে রাজসভার মহাকবি আলাউল ছাড়াও কোরেশী মাগন ঠাকুর, শাহ মোহাম্মদ সগীর, সৈয়দ সুলতান আরাকানে বসেই কালজয়ী সাহিত্য পদ্মাবতী, ইউসুফ জুলেখা সৃষ্টি করেন। সুলতানী ও মোঘল আমলে বাংলা মূলুকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয় আরাকান রাজাদের আনুকূল্যেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রখ্যাত বামপন্থী গবেষক অধ্যাপক ড. আহমদ শরীফ লিখেছেন সপ্তম শতাব্দীতে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া একটি জাহাজ থেকে বেঁচে যাওয়া আরব বনিকরা পার্শ্ববর্তী উপকূলে আশ্রয় নেন। তাঁরা সাগরের মাঝখানেই অলৌকিক ভাবে ‘আল্লাহর রহমতের বেঁচে যান’। সেই ‘রহম’ থেকেই রোহিঙ্গা জাতির উদ্ভব (আহমদ শরীফ, চট্টগ্রামের ইতিহাস)। আরব বণিকরা ব্যবসার পাশাপাশি ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন। কিন্তু মুসলমানদের দুর্দিন শুরু হয় ১৬৬০ সালে আরাকানের রাজা চন্দ্র সু ধর্মার হাতে মোগল রাজপুত্র শাহ সুজা নিহত হলে। এরপর দীর্ঘ সময় ধরে আরাকানে বিরাজ করে অস্থিরতা। ১৭৮৪ সালে বর্মি রাজা ভোধাপোয়া আরাকান দখলে নেন। ১৭৫৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি ভারত বর্ষ দখলের প্রায় ৭০ বছর পর ১৮২৪ সালে বার্মা দখল করে। এরপর দীর্ঘদিন আরাকানি মুসলিমরা স্বস্তিতে ছিলেন। ১৯৪২ সালের যুদ্ধে আরাকান জাপানিদের অধীনে চলে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিপুল সংখ্যক মুসলিম প্রাণ হারায়। যুদ্ধের মাধ্যমেই ১৯৪৫ সালে আবার ব্রিটিশরা আরাকান দখল করে। পাকিস্তান ও ভারতের স্বাধীনতা লাভের এক বছর পর ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে বার্মা। ‘রোহিঙ্গাদের উৎস ও বিকাশ’ শীর্ষক এক গবেষণায় অধ্যাপক আখতারুজ্জামান লিখেছেন, ‘রাজা ভোধাপোয়া আরাকান দখল করে বার্মার সঙ্গে যুক্ত করার আগে ১৪০৪ সাল থেকে ১৬২২ সাল পর্যন্ত ১৬ জন মুসলিম রাজা আরাকান শাসন করেন।’ অর্থাৎ রাখাইন মুসলিমদের শাসনের ছিল।
সেই আরাকানের নামকরণ করা হয়েছে রাখাইন রাজ্য। সেখানের ভূমিপুত্র রোহিঙ্গা মুসলিমরা এখন দেশছাড়া। ১৯৮২ সালে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন করে তাদের নাগরিকত্ব ছিনতাই করা হয়। রাষ্ট্রহারা নাগরিকত্বহীন রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীকে মিয়ানমার থেকে বহিষ্কারের লক্ষ্যে ‘অপারেশন পাই থায়া’ বা ‘পরিষ্কার ও সুন্দর জাতি অপারেশন’ নামে অভিযান চালানো হয়। অথচ ষাটের দশকের প্রথমার্ধে অং সান সুচির বাবা জেনারেল অং সানের শাসনামলে মন্ত্রিসভায় মুসলিম সদস্য ছিলেন। বছরের পর বছর বন্দী সুচির মুক্তির দাবিতে রোহিঙ্গা মুসলিমরা আন্দোলন করেছেন। সেই সুচির শাসনামলে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সন্ত্রাসীদের তা-বে টিকতে না পেরে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের হাজার হাজার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়ার ভয়াবহ চিত্র আন্তর্জাতিক মহল দেখেছে। হাজার হাজার তরুণ যুবক রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে; মেয়েদের ধর্ষণ করেছে মিয়ানমারের ‘অহিংসা পরম ধর্ম’ বৌদ্ধধর্মাবলম্বী সন্ত্রাসী এবং মগ দস্যুরা। বাংলাদেশ মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্ত জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলে হচ্ছে প্রশংসিত। বাংলাদেশ চায় মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়া হোক। রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যাতে নিরাপদে থাকে সেটারও নিশ্চয়তা চায় বাংলাদেশ। কিন্তু হঠাৎ করে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর সু চির দপ্তরের মহাপরিচালক জ তাই বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়ে বাংলাদেশের ওপর দোষ চাপিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বললেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বের জন্য বাংলাদেশ দায়ী। তার ভাষায় কোটি কোটি ডলারের বৈশ্বিক সহায়তার লোভে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করছে না। এ প্রচারণা মিথ্যার বেসাতি। বাস্তবতা হলো বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর জন্য দুই দেশের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নভেম্বরে সে কমিটি গঠিত হবে। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া বিলম্বের জন্য বাংলাদেশকে দায়ী করলেও বাস্তবতা হলো জীবন বাঁচাতে এখনো প্রতিদিন শত শত রোহিঙ্গা নাফ নদ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। কেউ কেউ নদে নৌকা ডুবিতে প্রাণ হারাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরোচিত গণহত্যার পর মিয়ানমারের একজন মন্ত্রী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকা সফর করেন। অতঃপর ২৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মিয়ানমার সফরে যান। তিনি মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দেশে ফিরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক চাপ কমলে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো কঠিন হবে। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কফি আনানের ১০ দফা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘে উত্থাপিত পাঁচ দফার ব্যাপারে মিয়ানমার একমত হয়নি। কফি আনান কমিশন ও প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব মিয়ানমারকে দিয়েছি। তারা প্রস্তাবনাগুলোয় কাটাছেঁড়া করে খসড়া কপি আমাদের দিয়েছিল। তা সংশোধন করে আবার পাঠিয়েছি। বাংলাদেশ বরাবরই বলছে মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হলেও মিয়ানমারকে অবশ্যই তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে হবে। কিন্তু মিয়ানমার ১৯৯২ সালের প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চাচ্ছে। বাংলাদেশ বলছে ১৯৯২ সালের চুক্তি বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাস্তবসম্মত নয়। গত ৯ অক্টোবর ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানান, যে প্রেক্ষাপটে ১৯৯২ সালের চুক্তির নীতিমালা ও যাচাইয়ের প্রক্রিয়া ঠিক করা হয় বর্তমান পরিস্থিতি তার চেয়ে আলাদা। সুতরাং ওই চুক্তি অনুসারে এবার রোহিঙ্গাদের পরিচয় শনাক্ত করার প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয়। এদিকে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অং সান সুচিকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আবার সুচিও গতকাল রোহিঙ্গাদের পুরিয়ে দেয়া গ্রামগুলো দেখতে রাখাইন রাজ্য সফর করেন। প্রশ্ন হলো যারা প্রাণ ভয়ে জীবন বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে; সেই আশ্রিতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে আবার মিয়ানমারের বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের বন্দুকের নলের মুখে পাঠিয়ে দেয়া কি মানবতার কাজ হবে?
চীন, ভারত, রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অনেকেই বাংলাদেশকে উস্কে দিচ্ছে। কিন্তু কারো উস্কানিতে কান দেয়া উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্য বলেছেন, যুদ্ধ নয় আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করবে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটাই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। কিন্তু মিয়ানমারের বৌদ্ধরা যেভাবে মিথ্যার বেসাতি করছে তা চরম ঔদ্ধত্য ও গুরুত্বর অন্যায়। মিয়ানমারের বৌদ্ধধর্মাবলম্বী শাসনরা যেন মহামতি গৌতম বুদ্ধের বাণীকে মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টায় রত। গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, ‘চিন্তার প্রতিফলন ঘটে স্বভাব বা প্রকৃতিতে। যদি কেউ মন্দ অভিপ্রায় নিয়ে কথা বলে বা কাজ করে দুঃখ তাকে অনুগমন করে’। রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর বর্বরোচিত গণহত্যা দেখে মনে হচ্ছে মিয়ানমারের বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে মানসিকভাবে মন্দ অভিপ্রায়ে কাজ করছে। গৌতম বুদ্ধ আরো বলেছেন, ‘নিজেকে নিয়ন্ত্রণ কর। তারপর অন্যকে অনুশাসন কর। নিজে নিয়ন্ত্রিত হলে অন্যকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করাই কঠিন’। সত্যিই তাই। মিয়ানমারের বৌদ্ধ শাসকরা ক্ষমতার মোহে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। যার পরিণতি বর্তমান রোহিঙ্গাদের ওপর নিষ্ঠুরতা। গত গত মাসের এক সপ্তাহ সময় ধরে কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যাংছড়ি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখে মনে হয়েছে তাদের ওপর ভয়ঙ্কর জুলুম-নির্যাতন হয়েছে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক মহলের সমঝোতা এবং রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে মিয়ানমারে পাঠানোর অর্থই হলো শরণার্থীদের সে দেশের সন্ত্রাসী বৌদ্ধ-মগদের বন্দুকের নলের খোড়াক করার নামান্তর।



 

Show all comments
  • Maruf Hossen ৩ নভেম্বর, ২০১৭, ৩:৫৯ পিএম says : 0
    আল্লার গজব।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ