পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংবিধানের ৯৫ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করে সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের দাবি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। মঙ্গলবার দুপুরে সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন এক লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান। এসময় আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সরকার সমর্থিত ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা জানতে পেরেছি শিগগিরই হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হবে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে মেধাসম্পন্ন বিচারিক সক্ষমতা, সৎ ব্যক্তিত্ব ও নৈতিকতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের দেশের আদালতের বিচারক হিসেবে নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। সরকার সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিচারক নিয়োগের নীতিমালা প্রণয়ন করে বিচারপতি নিয়োগ দিচ্ছে না।
সুপ্রিম আইনজীবী সমিতির এই নেতা বলেন, বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সংবিধানের ৯৫ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের দাবি আইনজীবী সমিতি দীর্ঘদিন করে আসছে। তাই বিচারপতি নিয়োগে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও সততা নিশ্চিত করতে হলে বিচারক নীতিমালা তৈরির কোনো বিকল্প নেই। সরকার চাইলে সাতদিনের মধ্যে নীতিমালা তৈরি করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, হাইকোর্ট ইতোমধ্যে একটি রিট পিটিশনে গত ১৩ এপ্রিল রায়ে বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ, কার্যকর এবং বস্তুনিষ্ঠ করার প্রয়োজনের সাতটি যোগ্যতা নির্ণায়ক উল্লেখ করেছেন। সকল যোগ্যতাসম্পন্ন ইচ্ছুক প্রার্থীদের সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদনের সুযোগ প্রদান করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন জয়নুল আবেদীন।
আইনমন্ত্রীর এক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী বিভাগে নতুন বিচারপতি নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু, তিনি বিচারক নিয়োগের নীতিমালা বা নিয়োগের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের নির্দেশনা সম্পর্কে কিছুই বলেননি। সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সভায় হাইকোর্টের রায় ও নীতিমালার আলোকে বিচারপতি নিয়োগের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় বলে জানানো হয়।
সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সরকার বদল হলেও বিচারপতি নিয়োগে কোনো নীতিমালা হয় না। যেকোনো সরকারই দলীয় লোকদের নিয়োগ দেয়া হয়। নি¤œ আদালতের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে জুডিশিয়ারি পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণি থাকলে আবেদন করতে পারে না। অথচ উচ্চ আদালতে অনেক বিচারকের যোগ্যতাই তৃতীয় শ্রেণির।
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, অনেক বিচারপতিকে দেখা যায়, মোকদ্দমার রেফারেন্স শুনতে চান না। শোনার মতো ওনাদের সময় নেই। ড. কামাল হোসেন বা রোকনউদ্দিন মাহমুদসহ অনেক সিনিয়র আইনজীবী যখন শুনানি করেন, তখন অনেক বিচারপতি তাঁর মর্মার্থ বুঝতেই পারেন না। তাই আমাদের দাবি, আওয়ামী লীগ দলীয় লোক নিয়োগ দেন, তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু মেধাবী, সূক্ষ্ম বিচারশক্তি, সৎ লোকদের নিয়োগ নিশ্চিত করুন এবং একটি নীতিমালা তৈরি করুন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. অজি উল্লাহ, সহ-সভাপতি উম্মে কুলসুম রেখা, সহ-সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম ও শামীমা সুলতানা দিপ্তীসহ সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্যরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।