Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ স্থগিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ

ভিসির অপসারণ দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত

কুবি সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির অপসারণের দাবিতে শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সকল ধরণের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এক কর্মচারীর ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে কটুক্তিমূলক মন্তব্য করায় তার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কর্মচারী সমিতি ও বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ। এছাড়াও শিক্ষা ছুটিতে থাকা এক শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগ বোর্ডে অবৈধভাবে সদস্য করায় এর প্রতিকার চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
জানা যায়, ২৯ অক্টোবর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে প্রেরিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি-২০১৭ হতে ভিসি অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফ এর বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশক্রমে নির্দেশনা প্রদান করা হলো।’
এদিকে গত ২৫ অক্টোবর শিক্ষক সমিতি ভিসি অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনে শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে অভিযোগ পাঠায়। শিক্ষক সমিতি ভিসির বিরুদ্ধে নিয়োগে বানিজ্য, আর্থিক দুর্নীতি, শিক্ষক লাঞ্ছনা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ অত্মসাৎ করাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ বোর্ডে সদস্য নিয়োগ প্রদানের প্রতিকার চেয়ে শিক্ষক সমিতি গত রোববার রেজিস্ট্রার বরাবর একটি স্বারকলিপি দিয়েছে। স্বারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদের নিয়োগ বোর্ডে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি. এম. আজমল আলী কাওছার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে শিক্ষা ছুটিতে থাকাকালীন নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ বোর্ডে বসতেন। এমনকি বিদেশে স্কলারশীপ নিয়ে শিক্ষা ছুটিতে থাকাকালীন সময়েও নিয়োগ বোর্ডে বসেন। যেখানে শিক্ষা ছুটিতে থাকাকালীন সময়ে পরীক্ষা কমিটি, প্ল্যানিং কমিটিসহ কোনো কমিটিতেই একজন শিক্ষকের থাকার সুযোগ নেই।
স্বারকলিপিতে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে রেল নাশকতা মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামী ও শিবির ক্যাডার খলিলুর রহমানকেও অফিস সহকারী কাম ডাটা প্রসেসর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। উক্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশ দান করা হলেও আত্মীয় হওয়ার কারনে ভিসি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
এদিকে ভিসি অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফের বিরুদ্ধে নিয়োগে বানিজ্য, আত্মীয়করণ, আর্থিক দুর্নীতি, বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু, শিক্ষক লাঞ্ছনাসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে তার বিচার ও অপসারণের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষকরা গত ১৬ অক্টোবর ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। শিক্ষকদের এ ক্ষুব্ধ অবস্থানের কারনে ভিসি ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যালয়ে আসেননি।
এ সকল বিষয়ে কথা বলতে ভিসি অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন তুলে, ‘ব্যস্ত আছি।’ বলে মোবাইল রেখে দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ