পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা মেধাবীদের খুঁজে বের করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বিশ্বায়নের এ যুগে দেশের উন্নয়নে মেধার বিকল্প নেই, কারণ একবিংশ শতাব্দীতে মেধাবীরাই সমাজকে নেতৃত্ব দেবে।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা মেধাবীদের খুঁজে বের করা, তাদের লালন ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। মেধা এখন আর কোনো শ্রেণিবৈষম্যের বিষয় নয়, মেধা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে, যা গত কয়েকটি পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায়ের ফলাফলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সাফল্য লক্ষ করা যায়। মেধা অন্বেষণে গত তিনটি জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের অধিকাংশই রাজধানীর বাইরের। নাহিদ বলেন, এবারের প্রতিযোগিতায় তিনটি গ্রুপে বিভক্ত ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি এবং সমমান শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে। উপজেলা পর্যায়ে ১৫, ১৬, ১৮ ও ১৯ মার্চ, জেলা পর্যায়ে ২২ মার্চ, ঢাকা মহানগরে ২৩ মার্চ, বিভাগ পর্যায়ে ২৪ মার্চ এবং জাতীয় পর্যায়ে ৩১ মার্চ এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ভাষা ও সাহিত্য, বিজ্ঞান, গণিত ও কম্পিউটার এবং বাংলাদেশ স্টাডিজ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে এ প্রতিযোগিতায় একজন শিক্ষার্থীর সর্বাধিক ৩টি বিষয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রতিযোগিতার প্রতি ধাপে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে। জাতীয় পর্যায়ে ‘বছরের সেরা মেধাবী’ হিসেবে ১২ জনকে এক লাখ টাকা করে প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে পূর্বের বিজয়ীদের মতো এবারের বিজয়ীরাও সরকারি খরচে বিদেশে শিক্ষা সফরের সুযোগ পাবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিবসহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।