পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য যৌক্তিক হারে টিউশন ফি নির্ধারণ করতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য রাজধানীর নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে, অতিরিক্ত টিউশন ফি নিয়ে ফেরত বা সমন্বয় না করা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে করণীয়ও নির্ধারণ করা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের তদন্তে অতিরিক্ত ফি নেয়া ১৩টিসহ মোট ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে ওই সভায় ডাকা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় শাখার এক উপ-সচিব আলাপকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হঠাৎ টিউশন ফি দ্বিগুণ করে দেয়। এতে অভিভাবকরা আন্দোলনে নামেন। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হলে আন্দোলন স্থগিত হয়। কিন্তু তখন বাড়তি টিউশন ফি আদায় করা অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো টাকা ফেরত দেয়নি বা সমন্বয় করেনি।
এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আগ্রহের ভিত্তিতে মাউশি এ বিষয়ে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। জানা গেছে, এই প্রতিবেদনের তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রতিষ্ঠানগুলো মন্ত্রণালয়ের চিঠির জবাব দেয়। কিন্তু এরপরও দেখা গেছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজেদের তৈরি করা ভিন্ন ভিন্ন হারে টিউশন ফি গ্রহণ করছে। এ অবস্থায় রাজধানীর বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে বসে একটি যৌক্তিক কাঠামো ঠিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় শাখার উপ-সচিব সালমা জাহান জানান, আগামী ২৪ এপ্রিল এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে সভা ডাকা হয়েছে। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি নির্ধারণে ২০টি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে চিঠি দিয়ে ডাকা হচ্ছে। তাদের নিয়ে সভা করে বিষয়টি নির্ধারণ করা হবে। এরপর নির্ধারিত ফির বাইরে কেউ আর মাসিক বেতন বাড়াতে পারবে না। জানা গেছে, যেসব প্রতিষ্ঠান এখনো অতিরিক্ত টিউশন ফি ফেরত বা সমন্বয় করেনি ২৪ এপ্রিলের সভায় তাদের ব্যাপারেও করণীয় নির্ধারণ করা হবে। জানা গেছে, নতুন পে-স্কেলের অজুহাতে শিক্ষাবর্ষের শুরুতে রাজধানীর অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অভিভাবকদের না জানিয়ে প্রায় দ্বিগুণ টিউশন ফি আদায় করছিল।
তখন বর্ধিত বেতন প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীসহ সিলেট, চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা আন্দোলন করে আসছিলেন। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তারা লিখিত অভিযোগ এবং অভিভাবক ফোরাম মাসিক বেতন নির্ধারণে নীতিমালার দাবিতে স্মারকলিপি দেন। প্রতিবাদ জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ শিক্ষাবিদরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৭ জানুয়ারি মাসিক বেতন ও অন্যান্য ফি বর্ধিত হারে আদায় বন্ধে নির্দেশনা জারি করে। ওই ঘোষণার পর আন্দোলনরত অভিভাবকরা উল্লাস প্রকাশ করেন। তবে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখে। ফলে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি তারা নতুন করে দুর্ভোগে পড়ে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, কোনোভাবেই ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না। ফি বাড়ানোর আগে যেভাবে অর্থ আদায় হতো, ওই নিয়মে কার্যক্রম চালাতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী দেশে ফিরলে সমন্বয় সভা করে টিউশন ফি নির্ধারণ করা হবে। প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রী তখন দেশের বাইরে ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।