শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের নিয়োগ না দিয়ে নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নিয়োগ প্রার্থী ও শিক্ষকেরা। তারা বলেন, পূর্বের নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না করে যদি নতুন নিবন্ধন উত্তীর্ণদের নিয়োগ দেয়া শুরু হয় তবে আবার দূর্নীতির দরজা খুলে যাবে এবং হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হবে।
সম্প্রতি ইনকিলাবে পাঠানো কয়েকটি চিঠিতে এরকম আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিবন্ধন উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী এবং নিয়োগের সাথে জড়িত শিক্ষকদের কয়েকজন। চিঠিতে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক নিয়োগে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করার জন্য সরকার এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একবার কিছু সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পরই দেখা গেল সেখানেও আগের চেয়ে আরও বহুগুণ বেশি দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। যার ফলে এনটিআরসিএ’র বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। একারণে দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ আছে। চিঠিতে বলা হয়, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছিলেন যে, ২০০৯ সাল থেকে নিবন্ধন পাশ ব্যক্তিদের নিয়োগ প্রদান শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে আর কোন নিবন্ধন পরীক্ষা নেয়া হবে না। কিন্তু দেখা গেল আগের নিবন্ধন উত্তীর্ণদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না করেই আবার নতুন করে ২০১৭ সালে নিবন্ধন পরীক্ষা নেয়া হয়। এটা শিক্ষামন্ত্রীর কথার সম্পূর্ণ বরখেলাপ। এতে দেশের মানুষ আশ্চার্যান্বিত হয়েছেন। নিরীহ ও অসহায় জনগণের প্রশ্ন এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও হ-য-ব-র-ল কান্ডের জন্য কে দায়ী? দেশের দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য সরকারের অনেক সংস্থা রয়েছে। তারা কেন এর প্রতিরোধ করছে না। চিঠিতে অচিরেই দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করে ২০০৯ সাল থেকে নিবন্ধন উত্তীর্ণদের নিয়োগ প্রদানের দাবি জানানো হয় এবং তাদের নিয়োগ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে পরীক্ষা না নেওয়ারও দাবি জানানো হয়।