Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবিশ্বাস্য ক্যাচে নিজেও বিস্মিত!

প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শামীম চৌধুরী (ব্যাঙ্গালুরু) ভারত থেকে : রুম্মানের বলে ডিপ মিড উইকেটে হাফিজের ওই শটটিকে অবধারিত ছক্কা ভেবে ধরে নিয়েছিলেন মাশরাফিরাও। ইডেনে পাকিস্তান সমর্থকরাও ছক্কার শটে হাফিজকে দিয়েছিলেন হাততালি। ওই শটটি দেখে ব্যাটিং পার্টনার আফ্রিদি পর্যন্ত হয়েছিলেন খুশি। অথচ কী অবিশ্বাস্যভাবেই না শরীরের ভারসাম্য রেখে শূন্যে লাফিয়ে বাউন্ডারি রোপ ছাড়িয়ে যাওয়া বলকে ক্যাচে পরিণত করেছেন সৌম্য সরকার!
ইডেনে পাকিস্তানের কাছে ৫৫ রানেও বাংলাদেশকে নিয়ে প্রশংসা হচ্ছে যা, তা ওই ক্যাচকে ঘিরেই। ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক ‘দ্য গার্ডিয়ান’ সৌম্য’র ওই ক্যাচটি নিয়ে করেছে একটি রিপোর্ট। যে রিপোর্টের শিরোনাম ‘সৌম্য সরকার মেকস অ্যান অ্যামেজিং ক্যাচ।’ অ্যাক্রোবেট ফিল্ডার হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বে নিজেকে সর্বকালের সেরা ফিল্ডারের খ্যাতি পাওয়া দ. আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার জন্টি রোডস পর্যন্ত টুইটারে সৌম্য’র ওই ক্যাচের প্রশংসা করেছেন, ‘দুই দলের ফিল্ডারদের কাছ থেকেই অসাধারণ কিছু ফিল্ডিং দেখেছি। কিন্তু সরকারের (সৌম্য) চেষ্টাটা অসাধারণ ছিল।’ ক্যারিবিয়ান লিজেন্ডারি ব্রায়ান লারা ওই ক্যাচে রীতিমতো মুগ্ধ। এককথায় দিয়েছেন প্রশংসা ‘হোয়াট অ্যা ক্যাচ’। ক্রিকেট কমেন্টেটর হর্ষ ভোগলে ও বিস্মিত ওই ক্যাচে! কোলকাতায় যেখানে যার সঙ্গে হয়েছে দেখা, তারাও প্রশংসা করেছেন ওই ক্যাচটির। ইডেন গার্ডেনসে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ম্যাচ কভার করা ভারত মিডিয়ারও হাততালি পেয়েছে অবিশ্বাস্য ওই ক্যাচ।
ক্যাচে সৌম্য আলোচনায় এসেছেন এর আগেও। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নেলসনে চারটি ক্যাচে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে রীতিমতো করেছেন রেকর্ড। এক ইনিংসে রেকর্ড ৪টি ক্যাচে ২০০৩ বিশ্বকাপে জোহানেসবার্গে শ্রীলংকার বিপক্ষে ভারতের ফিল্ডার মোহাম্মদ কাইফ এবং ২০১৫ বিশ্বকাপে এডিলেডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওমর আকমলের সঙ্গে যৌথভাবে ইনিংসে সর্বাধিক ক্যাচের রেকর্ডে ঠাঁই করে নিয়েছে সৌম্য। বিশ্বকাপের এক আসরে বাংলাদেশ ফিল্ডারদের মধ্যে সর্বাধিক ৬টি ক্যাচও তারই।
এশিয়া কাপে শ্রীলংকার টপ অর্ডার দিলশানকে ডিপ মিড অফে যেভাবে পেছনে দৌড়ে ডাইভিং ক্যাচে পরিণত করেছেন সৌম্য, সেই ক্যাচে পুরো শ্রীলংকা হতভম্ব। একটার পর একটা বিস্ময়কর ক্যাচে নিজেকে অন্য উচ্চতায় তুলে আনা সৌম্য গত পরশু হাফিজের যে ক্যাচটি নিয়েছেন, নিজের কাছেই তা বিস্মিত মনে হচ্ছে। বিশেষ করে জন্টি রোডসের মতো সর্বকালের সেরা ফিল্ডার জন্টি রোডসের প্রশংসা পাওয়ায় নিজেকে গর্বিত মনে করছেন সৌম্য ‘ফিল্ডিংয়ে যখন থাকি তখন চেষ্টা করি ভালো কিছু করার। এমন কিছু করতে চাই, যা যেন সবাই দেখে। ওই সময় মিড উইকেট জায়গাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। চেষ্টা করেছি ওই পজিশনে ভালো ফিল্ডিং করার, ভালো ক্যাচ নেয়ার। ওই রকম সুযোগ কাল (গত পরশু) পেয়েছিলাম। ক্যাচটা নিতে পেরে ভালো লেগেছে। শুনলাম জন্টি রোডসও নাকি ওই ক্যাচ নিয়ে কমেন্টস করেছেন।’
দারুণ সব ক্যাচিংয়ের জন্য দলের ইংলিশ ফিল্ডিং কোচ রিচার্ড হ্যালসলের ভূমিকাকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেছেন সৌম্য ‘টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ৬ ওভারে ফিল্ডিং মূলত ভেতরে থাকে। এর পরই ফিল্ডিং ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কারণ, ওই সময়ে ব্যাটসম্যানরা মারমুখি থাকে। এই বিষয়টি নিয়েই বেশি কাজ করেছি আমরা। ডিপের ফিল্ডিং নিয়ে কোচ রিচার্ড হ্যালসল অনেক কাজ করছেন। টি-টোয়েন্টিতে ভেতরের চেয়ে বাইরে ফিল্ডিং করতেই আমি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য পাই।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অবিশ্বাস্য ক্যাচে নিজেও বিস্মিত!
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ