নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ ক্রিকেটে লিগের (বিসিএল) চতুর্থ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। বিসিএলে এটা ওয়ালটনের দ্বিতীয় শিরোপা। প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোনের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ দুইবার শিরোপা জিতল তারা। এর আগে ২০১২-১৩ মৌসুমে প্রথম আসরে ওয়ালটন আর পরের দুই আসরে প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক বড় দৈর্ঘ্যরে ম্যাচের এই টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরের ষষ্ঠ ও ফাইনাল রাউন্ডে গতকাল মিরপুরে বিসিবি নর্থ জোনের সঙ্গে ড্র করে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। ফতুল্লায় ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন ও প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোনের ম্যাচটিও ড্র হয়। ছয় রাউন্ড মিলে মোট ৬৭ পয়েন্ট (বিসিবির হিসাব অনুযায়ী) নিয়ে তালিকার শীর্ষে থেকে শিরোপা নিশ্চিত করে ওয়ালটন। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইস্ট জোনের সংগ্রহ ৫৩ পয়েন্ট। নর্থ জোনের ৪৯ পয়েন্ট আর সাউথ জোনের ৪১ পয়েন্ট। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের চতুর্থ আসরের ষষ্ঠ ও ফাইনাল রাউন্ডে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন ও বিসিবি নর্থ জোনের মধ্যকার ম্যাচটি ড্র হয়েছে। তবে ড্রয়ের আগে শেষ দিনের শেষ সেশনে দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছেন ওয়ালটনের মার্শাল আইয়ুব।
মিরপুরে শেষ দিনের লাঞ্চ বিরতির সময় ৮ উইকেটে ২৯৩ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে বিসিবি নর্থ জোন। ফলে দিনের বাকি দুই সেশনে ওয়ালটনের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৬৬ রান। লক্ষ্যে খেলতে নেমে মার্শালের সেঞ্চুরি, সৈকত আলী ও রকিবুল হাসানের ফিফটিতে ওয়ালটন ২ উইকেটে ২৫৭ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল।
৩৬৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দিনের শুরুটা দারুণ হয় ওয়ালটনের। শামসুর রহমান ও সৈকত আলী ৭২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। শামসুরের (৩৮) বিদায়ে ভাঙে এ জুটি। আর সৈকত ফিফটি তুলে নিয়ে দলীয় ১২৬ রানে ব্যক্তিগত ৫৭ রানে ফিরে যান।
এরপর তৃতীয় উইকেটে রকিবুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে দ্রæতগতিতে রান তুলতে থাকেন মার্শাল। দুজনই তুলে নেন ফিফটি। মার্শাল ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করেন ৯৭ বলে। এর পরই ড্র মেনে নেয় দুই দল। ৯৮ বলে ১০ চার ও এক ছক্কায় ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন মার্শাল। রকিবুল অপরাজিত ছিলেন ৫৪ রানে। মার্শাল-রকিবুল জুটিতে ২০.৩ ওভারেই আসে ১৩১ রান।
এর আগে তৃতীয় দিনের ৩ উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে চতুর্থ ও শেষ দিনে ব্যাট করতে নামে নর্থ জোন। নাজমুল হোসেন শান্ত ৫০ ও জহুরুল ইসলাম শূন্য রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেন। দলীয় ১৫৩ রানে শান্তকে (৫৫) সাজঘরে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ শরীফ। এরপর দলীয় ২১৬ রানে নাঈম ইসলামকে বিদায় করেন তানভীর হায়দার। ২০ রান করা নাঈম জাবিদ হোসেনের বলে স্টাম্পড হন। নিজের পরের ওভারে এসে নতুন ব্যাটসম্যান আরিফুল হককেও (৫) সাজঘরের পথ দেখান তানভীর। দলীয় ২৫১ রানে ধীমান ঘোষকে (১৭) তানভীরের ক্যাচে পরিণত করেন শরীফউল্লাহ। দলীয় ২৭০ রানে সানজামুল ইসলামকে (১১) বোল্ড করেন তানভীর। এরপর ৮ উইকেটে ২৯৩ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়ে বিরতির পর আর ব্যাটিংয়ে নামেনি নর্থ জোন, ইনিংস ঘোষণা করে তারা।
৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন জহুরুল। ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন শাফাক আল জাবির। ওয়ালটনের পক্ষে তানভীর সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন ৬৬ রানের বিনিময়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।