পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভূক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল গতকাল দুপুর ২টা ২০ মিনিটে প্রকাশিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসে উপাচার্য অধ্যাপক ড দশমিক মো দশমিক আখতারুজ্জামান এই ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন। ফলাফলে দেখা যায় এই ইউনিটের সম্মিলিত পাশের হার দাড়ায় ১৪ দশমিক ৩৫%। এর মাঝে বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার ১৩ দশমিক ৪৬%, মানবিক বিভাগে পাশের হার ২২ দশমিক ০৭% এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাশের হার ১২ দশমিক ৭৭%। প্রকাশিত ফলে দেখা যাচ্ছে, নতুন শিক্ষাবর্ষে ‘ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় ৭১ হাজার ৫৪৯ ভর্তিচ্ছু। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ২৬৪। আর অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬১ হাজার ২৭৬ । শিক্ষার্থীরা মোবাইল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন। ‘ঘ’ ইউনিটভুক্ত ভর্তিচ্ছুরা মোবাইলে যেকোন অপারেটরের মেসেজ অপশনে গিয়ে উট স্পেস এযধ স্পেস ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর লিখে ১৬৩২১ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল জানা যাবে।
‘ঘ’ ইউনিটে যারা পাস করেছেন তাদের আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত এবং বিষয় পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কোটায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোটার ফরম সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিস থেকে সংগ্রহ করে সঠিকভাবে পূরণ করে ডিন অফিসে জমা দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে গত ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়া এই ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠে। এই অভিযোগের ফলে গতকাল যেন ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করা হয় সে দাবিতে দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করে প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যজোট ও বিভিন্ন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো। এই বিষয়টি নিয়ে তারা রোববার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছিলেন। এবং দুপুরে তারা উপাচার্যের কার্যালয়ের মূল ফটকের তালা ভেঙ্গে তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড দশমিক মো দশমিক আখতারুজ্জামান ও বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড দশমিক এ কে এম গোলাম রব্বানী তাদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলেন। সেসময় তারা প্রশ্ন ফাঁসের দায়ভার প্রশাসনকে নিতে বলে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন।
উপাচার্য এই সময় বলেন, আমাদের কাছে এই সম্পর্কিত কোন যথাযোগ্য প্রমাণ নেই যে পরীক্ষার পূর্বেই প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। একটি অশুভ শক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করার জন্য এই ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা তদন্ত করছি কারা এই অশুভ শক্তি। এসময় পরীক্ষা বাতিলের কোন সম্ভাবনা আছে কিনা বা তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর ফলাফল প্রকাশ করা হবে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য পরীক্ষা বাতিলের সম্ভাবনা বাতিল করে দেন। এবং ফলাফল সুষ্ট হয়েছে বলে দাবী করেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়া ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ফাঁস হওয়া প্রশ্নে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অপরদিকে গতকাল উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও পরবর্তী ফলাফল প্রকাশের সংবাদ সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকরা কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসের দিকে যাওয়ার সময় ইংরেজী দৈনিক ইনডিপেন্ডেন্ট এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মীর আরশাদুল হককে হেনস্থা করেন সহকারী প্রক্টর সোহেল রানা ও আরেক সহকারী প্রক্টর লৎফুর রহমান। এসময় সহকারী প্রক্টর সোহেল রানা ঐ সাংবাদিকের ছবি তুলেন এবং পরবর্তীতে ঐ সাংবাদিক বিষয়টি লক্ষ্য করলে সহকারী প্রক্টরকে উদ্দেশ্য করে বলেন স্যার আপনি আমার ছবিইতো তুলতে চাইছেন তাহলে আমি দাড়ালাম এবার তুলেন। তখন সহকারী প্রক্টর ঐ সাংবাদিককে বলেন তোমার ভিডিও ধারণ করছি। তারপর আরেক সহকারী প্রক্টর লৎফুর রহমান এসে তাকে হেনস্থা করেন এবং উপাচার্যের কার্যালয়ে নিয়ে অবরুদ্ধ করেন এবং তাকে পুলিশে সোপর্দ করার হুমকি দেন। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী এসে তাকে উপাচার্যের কার্যালয়ে বসে থাকতে বলেন। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অন্যান্য সাংবাদিকরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে আনে। পরবর্তীতে উপাচার্যের নিকট বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে উপাচার্য সকল সাংবাদিকদের সাথে তার কার্যালয়ে বসে কথা বলেন এবং এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ^স্থ করেন। অপরদিকে দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন।
উল্লেখ্য, সকাল সাড়ে ১১টার সময় বিশ^বিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয় যে, রোববার দুপুর দেড়টায় ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।