পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরে আমন মৌসুমে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট উদ্ভাবিত নতুন জাতের স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন বিনা ধান ১৬ আমন মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ফলন দিয়েছে। প্রতি হেক্টরে এ জাতের ধান অন্তত ৫.৯৭ মেট্রিক টন ফলেছে বলে গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে ।
গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্র জানিয়েছে, এ বছর এ কেন্দ্রের তত্তা¡বধানে গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর জেলার ৩০ একর জমিতে ৭৫ টি প্রদর্শনী প্লটে এ ধানের আবাদ করা হয়েছে। স্বল্প মেয়াদ সম্পন্ন এ জাতের ধান রোপনের ১শ’ দিনের মাথায় কাটা হয়েছে। মাঠ দিবসে এসব প্রদর্শনী প্লটের ধান কেটে পরিমাপ করে প্রতি হেক্টরে এ ধান ৫.৯৭ টন ফলন পাওয়া গেছে। আমন মৌসুমে প্রচলিত জাতের তুলনায় এটি আমন মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ফলন দিয়েছে বলে ওই উপকেন্দ্র জানিয়েছে।
গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর গ্রামের কৃষক মোঃ হাফিজ মৃধা বলেন, এ বছর আমি বিনা ১৬ জাতের ধান আবাদ করেছি। প্রচলিত আমনের তুলনায় এ ধানের বাম্পার ফলন পেয়েছি। এ ধান প্রচলিত আমনের ১ মাস আগে কাটা যায়। বাজারে ধানের দাম ভালো পাওয়া যায়। এ ধানের আবাদের পর সরিষা,কলাই বা মসুরের আবাদ করা যায়। একই জমিতে বছরে ৩ ফসল উৎপাদন করে অমরা আরো লাভবান হতে পারি। কাশিয়ানী উপজেলার পশ্চিম মাঝিগাতী গ্রামের কৃষক খোন্দকার সিদ্দিক বলেন, প্রচলতি আমনে রোগবালই হয়। কিন্তু বিনা ১৬ জাতের ধানে কোন রোগ বালাই নেই। ধানের ফলন দেখে আমাদের এ বøকের কৃষকরা আগামীতে এ ধানের আবাদ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
কাশিয়ানী উপজেলার সমসপুর গ্রামের কৃষক মঞ্জুর হোসেন শেখ বলেন, বিনা ধান ১৬ স্বল্প সময়ে ক্ষেত থেকে কাটা যায়। এছাড়া এ ধানের বীজ পরবর্তী বছরের চাষাবাদের জন্য সংরক্ষন করা যায়। এছাড়া এ জাতের ফলন যে কোন জাতের তুলনায় বেশি। এ ধানের চাল চিকন ও ভাত খেতে সুস্বাদু। এসব কারণে আমরা আমন মৌসুমে এখন থেকে বিনা ধান ১৬ আবাদ করবো। গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেফাউর রহমান বলেন, বিনার এসআরএসডি প্রকল্পের অর্থায়নে, গোপালগঞ্জ বিনা উপকেন্দ্রের তত্ত¡াবধানে ও কৃষি সম্প্রসারণের সহযোগিতায় গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরে বিনা ধান ১৬ জাতের আবাদ করে কৃষক আমন মৌসুমে প্রচলিত ধানের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ফলন পেয়েছেন। এতে কৃষক লাভবান হয়েছেন। এ ধানের জীবন কাল স্বল্প। স্বল্প মেয়াদ কালের ধান কম ফলন পাওয়ার কথা। কিন্তু ট্রায়েলে এ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি গবেষণা ইনষ্টিউটের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচ.এম খায়রুল বাসার বলেন, স্বল্প মেয়াদ কালের বিনা ধান ১৬ আবাদ করে কৃষক একই জমিতে বছরে অন্তত ৩টি ফসল ফলাতে পারেন। কৃষক ধান সহ অন্যান্য ফসলের চাষাবাদে অতিরিক্ত অর্থ আয় করে আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।