পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিয়োগ বিধিমালা চূড়ান্ত হয়নি। তবুও নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বর্তমানে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক যারা আছেন তাদের পরীক্ষা নেয়ার পরও পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে না। ২০১৪ সালের বিধিমালায় এমএলএসএস পদ বিলুপ্ত করা হলেও তা এখনো বিধিমালায় আছে। নিয়োগ বিধিমালা ছাড়াই গত দুই বছরে প্রশাসনে বিভিন্ন দফতরে প্রায় ৩০০ জনকে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ও এমএলএসএস (অফিস সহায়ক) পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো: মোজাম্মেল হক খান ইনকিলাবকে বলেন, বর্তমানে ২০১৪ সালে নিয়োগবিধি মোতাবেক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। তবে কিছু কিছু ধারা সংশোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-১ শাখা থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ সচিবালয়ে ক্যাডারবহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা ও নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের দুই বছর আগে সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়। বিধিমালায় বেশ বিছু পরিবর্তনের জন্য প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। গত বছরের ৬ মার্চ নিয়োগবিধি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছিল।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সচিবালয় (ক্যাডারবহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা-২০০৬ সংশোধন করে বাংলাদেশ সচিবালয় (ক্যাডারবহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী) বিধিমালা-২০১৪ জারি করা হয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালের ৫ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা শতকরা ৭০ ও মৌখিক পরীক্ষা শতকরা ৩০ নম্বর নির্ধারণ করার নির্দেশ জারি করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সচিবালয় (ক্যাডারবহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং নন- গেজেটেড কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা-২০১৪-এর তফসিল-৩ ও ৬ সংশোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। গত বছরের ২২ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ সচিবালয় (ক্যাডারবহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা, নন-গেজেটেড কর্মচারী) নিয়োগ বিধিমালা-২০০৬-এর তফসিলভুক্ত অফিস সহকারী পদের নাম পরিবর্তন করে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সচিবালয়ে ক্যাডারবহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা-নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০১৪-এর তফসিল-১ এর ক্রমিক ৮ বিলুপ্ত ও সে অনুযায়ী ক্রমিক ৪-এর নিয়োগ পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অংশ এবং তফসিল-৩ থেকে অফিস সহকারী শব্দ দু’টি বিলুপ্ত করে সংশোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধিমালা পরীক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভায় বিভাগীয় প্রার্থীদের বয়সসীমা শিথিলের বিষয়ে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বিভাগ যে বয়সসীমা পর্যন্ত শিথিলযোগ্য রয়েছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিয়োগবিধি সংশোধনের সুপারিশ করা হয়। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুবিভাগ বর্ণিত বয়সসীমা ৪০ বছর বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে বিধিগত কোনো বাধা নেই মর্মে মতামত প্রদান করা হয়। ৪র্থ ও ৩য় শ্রেণির পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৬ বছরের পরিবর্তে ৫ বছরের অভিজ্ঞতার শর্ত রাখার সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে এ পদে পদোন্নতির কোটা শতকরা ৩০-৪০ ভাগ করার সুপারিশ করা হয়। সরকারি অফিসের বিদ্যমান পুরনো এমএলএসএস, দপ্তরি এবং ডুপ্লিকেটিং মেশিন অপারেটর পদ নাম তিনটি সংশোধন করারও সুপারিশ করা হয়। ২০০৬ সালের নিয়োগ বিধিমালা মতে চলতি মাসেই সচিবালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকদের পদোন্নতি পাওয়ার কথা। কিন্তু এই নিয়োগ বিধিমালাকে সংশোধন করে প্রস্তাবিত সচিবালয় নিয়োগ বিধিমালা- প্রণয়ন করে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। কমিয়ে ফেলা হয়েছে দীর্ঘদিন কর্মরত কর্মচারীদের পদোন্নতির কোটা ও পদ। এতে করে সকল মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকদের পদোন্নতি ২০ থেকে ২৫ বছর পিছিয়ে যাচ্ছে। কেউ দীর্ঘদিন এক পদে কর্মরত থাকলেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশান মন্ত্রণালয়ের অধিশাখার এক কর্মচারী বলেন, আমি অনেক বছর ধরে চাকরি করছি। বারবার পরীক্ষায় পাস করছি তারপর পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।