Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে এক-চতুর্থাংশ মার্কিনি দেশ ছেড়ে চলে যাবেন

প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হলে এক-চতুর্থাংশের বেশি মার্কিন নাগরিক দেশত্যাগ করে অন্য কোনো দেশে চলে যেতে পারেন বলে আশংকা করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত পরিচালিত নতুন এক জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে শতকরা ২৮ ভাগ নিবন্ধিত ভোটার যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করবেন। তবে শতকরা ৬৫ ভাগ ভোটার দেশে থেকে যাবেন। মর্নিং কনসাল্ট ও ভক্স নামের সংস্থা দুটির যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এ জরিপের ফলাফল গত বুধবার প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, যারা দেশত্যাগ করতে চান তাদের মধ্যে শতকরা ৪৯ ভাগ ডেমোক্র্যাট দলের সমর্থক। অন্যদিকে এদের মধ্যে রিপাবলিকান দলের সমর্থক রয়েছেন শতকরা ১২ ভাগ। চলতি মাসের গোড়ার দিকে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নির্বাচনের দৌড়ে এগিয়ে যাওয়ার পর মার্কিন নাগিরকদের মধ্যে কানাডায় চলে যাওয়ার পরিকল্পনা জোরদার হয়। ইন্টারনেটের গুগল সার্চে ‘আমি কীভাবে কানাডায় যেতে পারি’ বাক্য লিখে অনুসন্ধানের তৎপরতা বেড়ে যায়। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে কোনো দায়িত্ব পালন করেননি। তারপরও উগ্র যুদ্ধবাজ দল হিসেবে পরিচিত রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বারবার এগিয়ে যাচ্ছেন এই মার্কিন ধনকুবের। নারী, মেক্সিকোর অভিবাসী এবং মুসলিম জনগোষ্ঠী সম্পর্কে চরম বিতর্কিত মন্তব্য করে ইতোমধ্যেই ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন তিনি। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে নমিনেশন পর্বের ভাষণগুলোর প্রথম দিকে বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে একজন মুসলমানকেও যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেবেন না। মুসলমান মানেই সন্ত্রাসী! ট্রাম্প আরো মজার কথা বলেছেন, যা রাজনীতি কালচারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। অবশ্য তাতে অবাক হবার কিছু নেই। একজন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী রাজনীতির কি বুঝবেন? সে কথা ট্রাম্প বলেছেনও, তিনি রাজনীতি এবং মার্কিন রাজনীতিবিদদের তেমন শ্রদ্ধা করেন না। ট্রাম্প ভীষণভাবে কৃষ্ণাঙ্গবিরোধী, কালো চামড়ার মানুষদের তিনি একেবারের পছন্দ করেন না। প্রথম দিকে তিনি এ কথা বললেও পরে বলছেন না।
অপর এক খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে থাকা বহুল আলোচিত-সমালোচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, প্রাইমারিতে জেতার পরও দল মনোনয়ন না দিলে দেশে দাঙ্গা হবে। গত বুধবার পাঁচ রাজ্যের প্রাইমারির তিনটিতে জয় নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প। এর ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের চেয়ে সুনির্দিষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে গেছেন ট্রাম্প। মনোনয়ন পাওয়ার জন্য ১২৩৭ জন প্রতিনিধির সমর্থন লাগবে। ট্রাম্প এরই মধ্যে ৬৪৬ জনের সমর্থন অর্জন করতে পেরেছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী টেড ক্রুজ অনেক পেছনে পড়ে আছে। কিন্তু ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বে অনাস্থা বাড়ছে। তার বিতর্কিত বক্তব্য এ জন্য দায়ী। এখন বিষয় হলো- মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিনিধির সমর্থন পেলেই যে কথা শেষ তা নয়। দলীয় নীতিনির্ধারকরা জাতীয় কনভেশনে তার বিরুদ্ধে আনাস্থা দেখাতে পারেন বলে গুঞ্জন চলছে। কিন্তু ট্রাম্প হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন, প্রাইমারিতে জেতার পরও মনোনয়ন না পেলে দাঙ্গা বেঁধে যাবে। নিউইয়র্কের ধনকুবের ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের একজন। অর্থনীতিতে তো অবশ্যই রাজনীতিতেও তিনি এখন ফ্যাক্টর। বিবিসি, রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Farjana ১৮ মার্চ, ২০১৬, ২:৩৭ পিএম says : 0
    Hilary is perfect
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে এক-চতুর্থাংশ মার্কিনি দেশ ছেড়ে চলে যাবেন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ