Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘জঙ্গি’ সংশ্লিষ্টতায় রিয়াসাতকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তিন দিনের রিমান্ড
অফিস যাওয়ার পথে রিয়াসাত এলাহি চৌধুরী (২৮) নামের মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া যুবক রিয়াসতকে গ্রেফতার দেখিয়েছে র‌্যাব। তিনি নিখোঁজ নন, জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে র‌্যাব-৩ জানিয়েছে। র‌্যাবের দাবি, ওই যুবক জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রæপের সদস্য।
গতকাল সোমবার বিকালে র‌্যাব-৩-এর পরিচালক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রিয়াসাত এলাহি চৌধুরী জেএমবির সদস্য। তাকে রোববার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল সোমবার তাকে আদালতে নেয়া হয়। আদালত তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
তিনি আরো বলেন, র‌্যাবের কাছে গ্রেফতার হওয়া জেএমবি›র সারোয়ার-তামিম গ্রæপের ‘ব্রিগেড আদ্-দার-ই-কুতনি’র কমান্ডার ইমাম মেহেদী হাসান ওরফে আবু জিব্রিলের সঙ্গে রিয়াসাতের যোগাযোগ ছিল।
এমরানুল হাসান আরো বলেন, রিয়াসাতই জঙ্গি ইমাম মেহেদীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আবু আতার ওরফে নওরোজ রাইয়্যাত আমিনের পরিচয় করিয়ে দেয়। যাতে তারা জেএমবিকে ফের সংগঠিত করতে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে এবং ফান্ড তৈরি করতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় চকবাজারের সোয়ারিঘাট এলাকার একটি বাসা থেকে জেএমবির ‘সারোয়ার-তামিম গ্রুপ’-এর ‘ব্রিগেড আদ-দার- ই-কুতনি’র নারী সদস্য সাদিয়া আমিনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদিয়া জানায়, ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আবু আতার ওরফে নওরোজ রাইয়্যাত আমিনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আবু আতার ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করলেও পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে সপরিবারে অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে।
সে আরো জানায়, বিয়ের পর ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আবু আতার দুই দফায় ছয় মাস বাংলাদেশে অবস্থান করে। বিয়ের আগে থেকেই আবু আতার ওরফে নওরোজ উগ্রবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিল। বাংলাদেশে অবস্থানের সময় ২০১৫ সালে আবু আতারের সঙ্গে উগ্রবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী এক যুবকের (রাইয়াত) পরিচয় হয় এবং ওই যুবক তাকে ইমাম মেহেদী হাসানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। তার আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেএমবি’র ব্রিগেড আদ-দার-ই-কুতনি’র কমান্ডার ইমাম মেহেদী হাসান ওরফে আবু জিব্রিলকে গ্রেফতার করা হয়।
র‌্যাব আরো জানায় ,জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, জেএমবি’র ব্যাকআপ ও রিজার্ভ ব্রিগেড হিসেবে রক্ষিত ‘ব্রিগেড আদ-দার-ই-কুতনি’ পুনরায় সদস্য সংগ্রহ করে আসছিল। এ ব্রিগেডে আনসার (সাহায্যকারী), মুহাজির (যোদ্ধা), সালাফি আলেম বোর্ড এবং অর্থ প্রদানকারী দেশি ও প্রবাসী ব্যক্তি রয়েছে।
রিয়াসাত টেকশপ নামের একটি প্রযুক্তিপণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। রোববার সকালে অফিস যাওয়ার পথে সে নিখোঁজ হয় এমন অভিযোগে ওই দিনই রিয়াসাতের মা সৈয়দা হোসনে জাহান তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং- ৩৬) করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জঙ্গি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ