পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হবে ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি।আর দ্বিতীয় পর্ব ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তার জন্য যা যা প্রয়োজন বিশ্ব ইজতেমা মাঠে তা রাখা হবে বলে জানান মন্ত্রী। এছাড়া যে সব দেশে বাংলাদেশে দুতাবাস নেই তাদের জন্য অন অ্যারাইভেল ভিসা দেয়া হবে। বৈঠকে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
গতকাল সোমবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাক্ষকে আয়োজিত বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ কথা সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,যেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস বা মিশন নেই, সেসব দেশ থেকে টঙ্গীতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমায় আসতে চাইলে তাদের শর্তসাপেক্ষে অন অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, যেসব দেশে বাংলাদেশের মিশন বা দূতাবাস নেই, ওইসব দেশের ব্যক্তিরাও বিশ্ব ইজতেমায় আসতে পারেন। তবে তাদের আমাদের দেশের তাবলীগের মুরব্বিদের অনুমতি নিতে হবে। ওই অনুমতি নিয়ে তারা এলে তাদের ৩০ দিনের অন অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া হবে। পরে প্রয়োজনে এই ভিসা বাড়িয়ে দেওয়াও যেতে পারে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও যাতে সুন্দর ও নিরাপদভাবে ইজতেমা শেষ করতে পারি এজন্য আরও কিছু করার প্রয়োজন আছে কি না এজন্য সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি। ইজতেমাস্থলে প্রতিবারের মতো এবারও পোষাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ, র্যাব, আনসার ও প্রয়োজনীয়সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে। নিরাপত্তার জন্য যা যা প্রয়োজন সবকিছুই সেই মাঠে আমরা রাখব।
যানজট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইজতেমা শুরুর সাত দিন আগে ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পর্কে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। বিভাগ অনুযায়ী পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ব ইজতেমা যেহেতু একটি বৈশ্বিক আয়োজন, তাই এর প্রতি সারাবিশ্বের নজর রয়েছে। এ কারণেই বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, ইজতেমা উপলক্ষে তুরাগ নদীর তীরে ইজতেমা প্রাঙ্গণে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির নেতৃত্বে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসেরও একটি কন্ট্রোল রুম বসানো হবে। ডুবুরিসহ উদ্ধারকারীদের রাখা হবে ফায়ার সার্ভিসের টিমে।
ইজতেমায় যাতায়াত ও স্থানীয় বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আখেরি মোনাজাতের আগে ও পরে বিশেষ ট্রেন রাখা হবে। ইজতেমা চলাকালে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হবে, পয়নিষ্কাশনসহ অন্যান্য সেবার যাবতীয় ব্যবস্থাও করা হবে। আটটি মেডিক্যাল টিম ইজতেমায় আগতদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করবে। এছাড়া, রেড ক্রিসেন্টের একটি টিমও থাকবে ইজতেমা প্রাঙ্গণে।
ইজতেমার নিরাপত্তার জন্য কোনো হুমকি আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো থ্রেটের কথা আমরা জানি না। আমরা মনে করি, যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হতে পারে। সেজন্য গোয়েন্দা থেকে আরম্ভ করে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সবসময় সজাগ থাকবে এবং রয়েছে।
গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সভাক্ষকে অনুষ্টিত বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ছাড়াও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), আনসারের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।