পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেছেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে বাদ দিয়ে আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিদের নিয়ে আলোচনা করার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। গতকাল রোববার দুপুরে সমিতির সভাপতির রুমে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে বিচার বিভাগের ভার্বমর্যাদা রক্ষার মানববন্ধন করেছে সুপ্রিম আইনজীবীরা।
সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, প্রেসিডেন্টও সংবিধান ভায়োলেট (লঙ্ঘন) করেছেন। কেন করেছেন? তিনি (প্রেসিডেন্ট) প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে অন্য বিচারপতিদের ডেকে নিয়েছেন এবং তারপর তাদের বুঝিয়েছেন। এটা সংবিধানে নেই।
আইনমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে জয়নুল আবেদীন বলেন, আইনমন্ত্রী ৯৭ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে যে ব্যাখ্যা বললেন, এবং তারা যে গেজেট করলেন (বিচারপতি মো: আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে প্রধান বিচারপতি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ) তার কোনো বিধান নেই। এখানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাটক সৃষ্টি করেছেন। সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে গেজেট প্রকাশের কোনো বিধান নেই। যদি পদটি (প্রধান বিচারপতির) শূন্য হতো তাহলে শপথ পড়ানোর প্রয়োজন আছে। ভারপ্রাপ্তকে তো শপথ পড়ানো হয়নি। তিনি তাই প্রধান বিচারপতি নন। সংবিধানের এই ভায়োলেশন (লঙ্ঘন) জাতির জন্য খুবই দুঃখজনক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
অন্যদিকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে সুপ্রিম কোর্টে ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যানারে শতাধিক আইনজীবী বার ভবনের সামনে মানবন্ধন করেন। এতে বক্তব্য রাখেন তৈমুর আলম খন্দকার, আবেদ রাজা, সাইফুর রহমান, এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মির্জা আল মাহমুদ, আরিফা জেসমিন, শরিফ ইউ আহমেদ প্রমুখ।
মতবিনিময় সভা আজ: প্রধান বিচারপতির ছুটিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এবং উদ্ভুত পরিস্থিতি আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার প্রত্যয়ে করণীয় সম্পার্কে সোমবার বিকেল ৪টায় সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটোরিয়ামে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা বার অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকা ট্যাক্সেস বার অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।