পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইন্টার পার্লামেন্টারী ইউনিয়ন (আইপিইউ)-এর ১৩৭তম সম্মেলনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে মিয়ানমারে জাতিগত নিধন বন্ধে জরুরী প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে মুসলিম নির্যাতনের ঘটনা কেবল মানবাধিকার লঙ্ঘনই নয়, এটি একটি জাতিগত নিধনের ঘটনাও বটে। এটা বন্ধ করতে হবে।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গে শনিবার থেকে শুরু হওয়া সম্মেলনের প্রথম দিনে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের সভায় জরুরী প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। জরুরী প্রস্তাবনা হিসেবে বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশসহ ৬টি দেশ প্রস্তাবনা জমা দেয়। পরবর্তীতে ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের সমর্থনে নিজ নিজ প্রস্তাবনা প্রত্যাহার করে নিলে ভোটের মাধ্যমে জরুরী প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রোহিঙ্গা প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করার জন্য বাংলাদেশ, ইরান ও জাপানের প্রতিনিধি সমন্বয়ে খসড়া প্রস্তাবনা চূড়ান্তকরণে কমিটি গঠন করা হয়।
এরআগে প্রস্তাবনাটি উত্থাপনকালে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম নিধন একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এই বর্বরতা অব্যাহত রয়েছে। যে কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। মিয়ানমারে পুর্ণ নাগরিকের মর্যাদা দিয়ে তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বিশ^ সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহবান জানান তিনি।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উত্থাপিত ৫ দফা প্রস্তাবনা এবং কফি আনান কার্যালয়ের প্রতিবেদনের পূর্ণ বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, বিশ^ সম্প্রদায় যদি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দুরাবস্থা সচক্ষে দেখেন তাহলে জানতে পারতেন কীভাবে মিয়ানমারে গণহত্যা হয়েছে। ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, নারী ও শিশু হত্যাসহ নির্যাতন করা হচ্ছে। যা বিশ^ মানবতাকে কেবল আহত-ই করেনি, যা ঘটেছে তা হয়েছে, মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন ও পরিকল্পিত জাতিগত নিধন।
এদিকে ওআইসিভুক্ত দেশেসমূহের পার্লামেন্টারী ইউনিয়নের সভায়ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিশ^ নেতৃবৃন্দ বিশেষ করে মুসলিম দেশেসমূহের এগিয়ে আসার আহŸান জানান। তিনি বিশে^র সব থেকে আলোচিত এই ইস্যুকে একমাত্র প্রস্তাবনা হিসেবে গ্রহণ করে রোহিঙ্গা মুনসলিম নিধন বন্ধে বিশ^ জনমত গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন। সূত্র জানায়, সম্মেলন চলাকালে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাহ’র নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এশিয়ান পার্লামেন্টারী এসেম্বলীর অপর এক বৈঠকে যোগ দেন। তারাও রোহিঙ্গা ইস্যুটি উত্থাপন করেন। ওই ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানকে সভায় অংশগ্রহণকারী ৪০টি দেশের প্রতিনিধিরা সমর্থন করেন।
উল্লেখ্য, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার নেতৃত্বে আইপিইউ সম্মেলনে জাতীয় সংসদের ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নিচ্ছেন। এরমধ্যে সরকার ও বিরোধী দলের ১৪ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। তারা হলেন- প্রধান হুইপ আসম ফিরোজ, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, আবুল কালাম আজাদ, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, মহিউদ্দীন খান বাদল, নূর-ই-আলম চৌধুরী, কাজী ফিরোজ রশীদ, ডা. মো. হাবিব-এ মিল্লাত, পঙ্কজ নাথ, ফজলে হোসেন বাদশা, বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান, বেগম সাবিনা আক্তার তুহিন ও মো. মামুনুর রশিদ। তারা ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে যোগদান ছাড়াও একাধিক দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।