উত্তর: সাধারণ বিবেচনায় জায়েজ। কারণ এটি একটি সেবা। কিনে বিক্রি করতে হয়। নাজায়েজের যে বিষয়টি আছে সেটি বিশ্লেষণ সাপেক্ষ। তাকওয়ার বিচারে কেউ এটিকে এড়িয়ে চলতেই পারে। সব ব্যবসা মূলত মুবাহ। যদি এতে হারামের স্পষ্ট উপাদান না থাকে। এ হিসাবে ওয়াইফাই...
উত্তর: আরবী ভাষায় আব্দুল মুত্তালিবের অর্থ প্রভু বা গোলামের গোলাম নয়। এর অর্থ বালক বা বৎস। এজন্য ওই অর্থে আব্দুল মুত্তালিব রাখা যাবে। আব্দুর রব নাম রাখতে কোনো অসুবিধা নেই। আল্লাহর যাতি ও সিফতি নামের সাথে আবদ/গোলাম ছাড়াও সমার্থবোধক অনেক...
উত্তর: নাটক বা মুভিতে আল্লাহর নবী ও রাসূলগণের জীবনীভিত্তিক প্রদর্শনী মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়। এতে শিক্ষার চেয়ে তাদের শানে বেয়াদবি বেশি হয়। তাছাড়া নারী পুরুষের সম্মিলিত অভিনয় দেখার নিষিদ্ধতাও শরীয়তে রয়েছে। এসব নিরুৎসাহিত করতে হবে। সূত্র: জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও...
উত্তর: ইসলামী শরীয়া অনুসরণকারী ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি শরীয়তসম্মত যে কোনো পদ্ধতিতে ঋণ দেয়, অংশিদার হয় কিংবা বিনিয়োগ করে, তবে তাদের সহায়তা নিয়ে বাড়ী করা যাবে। শর্ত হচ্ছে তাদের পদ্ধতিটি শরীয়তসম্মত হওয়া। সুনির্দিষ্ট কেইসটি সামনে নিয়ে বিজ্ঞ আলেমের সাথে...
উত্তর: ইসলাম শান্তির ধর্ম। এ ধর্ম মানুষের জীবনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মানবহত্যা কিংবা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করা ছাড়া অন্য কোন কারণে যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করলো, সে যেন পৃথিবীর সমস্ত মানুষকেই হত্যা করল। আর যে...
উত্তর: যথা সম্ভব চেষ্টা করবেন মহিলা ডাক্তার ও নার্সদের স্পর্শ বা সংগ এড়াতে। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে চিকিৎসার প্রয়োজনে জরুরী পরিমাণ সহায়তা নেওয়া যাবে। যেমনটি পর্দানশীন নারীদের বেলায়ও শরীয়ত জায়েজ রেখেছে। যদি মহিলা ডাক্তার পাওয়া না যায়, তাহলে নারীরাও...
উত্তর: কোনো অঙ্গের পুরোটাই যদি না থাকে, তাহলে এমন পশুর কোরবানী শুদ্ধ হয় না। আপনার পশুর যে পরিমাণ খুঁতযুক্ত এতে কোরবানী হয়ে যাবে। সূত্র: জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফতওয়া বিশ্বকোষ।উত্তর দিয়েছেন: আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী...
উত্তর: ইসলামে অধিক কোরবানী দিতে কোনো বাধা নেই। একাধিক কোরবানী কিংবা আরও অধিক কোরবানী ইসলামে প্রশংসিত। নবী করিম সা. একবার নিজের পক্ষ থেকে ৬০ টি পশু কোরবানী দিয়েছিলেন। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যত খুশি কোরবানী করা যেতে পারে। সূত্র: জামেউল ফাতাওয়া,...
উত্তর : আল্লাহ বলেন, ‘তিনি আকাশকে করেছেন সমুন্নত এবং স্থাপন করেছেন দাঁড়িপাল্লা। যাতে তোমরা সীমা লঙ্ঘন না কর দাঁড়িপাল্লায়। তোমরা সঠিক ওজন কায়েম কর এবং ওজনে কম দিও না।’ (সূরা আর-রহমান, আয়াত : ৭-৯)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘তোমরা মাপ ও...
উত্তর: কোরবানী বেশি পরিমাণে দেয়া, সুস্থ সবল ও সুন্দর পশু দেয়া, এমনকি এতে অধিক টাকা পয়সা ব্যয় করা শরীয়তে প্রশংসনীয়। শর্ত হচ্ছে, এখানে যেন নিয়ত ঠিক থাকে। কোরবানীটি কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যেই হয়। লোক দেখানো বা গর্ব অহংকারের কোনো বিষয় এখানে...
উত্তর: নবী করিম সা. এর নামে অর্থ তার পক্ষ থেকে। মূলত কোরবানী হয় শুধুমাত্র আল্লাহর নামেই। এ নামের অর্থ আল্লাহর উদ্দেশ্যে। আর কোরবানীদাতার ক্ষেত্রেও বলা হয় অমুকের নামে। এ নামে অর্থ হচ্ছে, তার পক্ষ থেকে। এভাবে নবী করিম সা. এর...
উত্তর: কোরবানীতে কিছুটা ছাড় এমন রয়েছে যে, এক পরিবারের পক্ষ থেকে একটি কোরবানীই যথেষ্ট। যদি প্রত্যেকেরই আলাদা অর্থবিত্ত থাকে, তাদের হিসাব-কিতাবও ভিন্ন থাকে তাহলে আলাদা আলাদা কোরবানী ওয়াজিব হবে। এক ব্যক্তির আর্থিক ব্যবস্থাপনায় যত পোষ্য আছে তাদের পক্ষে একজনের কোরবানী...
উত্তর: সবার নাম উচ্চারণ করা বা জবাইকারীর তা উল্লেখ করা জরুরী নয়। কোরবানীদাতারা নিয়ত করে নিলেই চলবে। সূত্র: জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফতওয়া বিশ্বকোষ।উত্তর দিয়েছেন: আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী...
উত্তর: ফিকহে হানাফী অনুসারে ভাগ রাখা যাবে। যারা এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন তাদের মাসয়ালা অন্যরকম হতে পারে। আমাদের দেশে যেহেতু প্রায় সব মুসলমান হানাফী ফিকাহর অনুসারী। সুতরাং আমাদের সমাজে প্রচলিত নিয়মে কোরবানির পশুতে আকিকার ভাগ রাখা যাবে। সূত্র: জামেউল...
উত্তর: জবাইকারী যদি মুসলিম হয় আর ইচ্ছাকৃতভাবে বিসমিল্লাহ ত্যাগ না করে তাহলে খাওয়া যাবে। এ হুকুম কোরবানী ছাড়াও প্রযোজ্য। কেননা, ঈমানদারের মুখে বিসমিল্লাহ উচ্চারণ ভুলক্রমে ছুটে গেলেও তার হৃদয়ে বিসমিল্লাহ বা আল্লাহর নাম আছে। সূত্র: জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফতওয়া...
উত্তর: আল্লাহ বলেন, ‘মানুষের মধ্যে যার বাইতুল্লাহ পর্যন্ত যাওয়ার সামর্থ আছে, আল্লাহর জন্য সে ঘরে হজ্জ করা তার উপর ফরজ। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ৯৭।) পবিত্র হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম স্তম্ভ। ইবাদতের মধ্যে হজের এমন একটি বৈশিষ্ট আছে, যা...
উত্তর: বালা-মসিবতে নাজাত পাওয়ার জন্য হাদীসে বিভিন্ন আমলের কথা আছে। ১. সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে এ দিন ও রাতের জন্য যথেষ্ট। ২. সূরা ফালাক ও নাস পড়ে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাওয়া যায়। ৩. ফজরের নামাজ সময়মতো পড়লে এ...
উত্তর: হারাম উৎস বা পন্থা থেকে আগত অর্থসম্পদের মাধ্যমে যত সম্পদই আসুক, সবই হারাম। গোটা জিন্দেগি কেটে গেলেও এ সম্পদ হালাল হতে পারে না। এ ধরনের আর্থিক অপরাধ থেকে মুক্তির উপায় হারাম সম্পত্তি বর্জন করে হালাল উপায়ে জীবিকার সংগ্রামে লিপ্ত...
উত্তর : একজন মুসলমানের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত, বরকতপূর্ণ সালাম দেওয়ার যে বিধান ইসলামে রয়েছে, তা কেবল মুসলমানদের জন্যই। অমুসলিমকে সালাম দেওয়া যাবে, তবে তা ইসলামের সালাম নয়, সামাজিক ও মানবিক সালাম। এটি প্রচলিত নির্দোষ যে কোনো পন্থায় হতে...
উত্তর: পেশাব যেখানেই করুন, পবিত্রতা অর্জন একান্ত জরুরী। সুযোগ হলে পানি ব্যবহার করবেন। অন্যথায় মাটির ঢিলা, শুষে নেয় এমন বস্তু, টিস্যু বা অন্তত ইটের খোয়া দিয়ে পেশাবের শেষ ফোঁটাটি পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া তো কাপড় নাপাক হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।...
উত্তর: রমজান অত্যন্ত গরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ মাস। এ মাসে কুরআনুল কারিম নাযিল হওয়ার কারণে এ মাসের মর্যাদা আরো বেড়ে গিয়েছে। (দেখুন: সূরা আল-বাকারাহ, ২: ১৮৫) এ মাস যে পাবে, তার উপর রোজা পালন করা ফরজ। আর প্রত্যেক রোজাদারের জন্যে রয়েছে...
উত্তর: হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, নবী সা. বলেন, পবিত্র রমযান উপলক্ষ্যে আমার উম্মতকে পাঁচটি বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। যা পূর্ববর্তী কোন উম্মতকে দেওয়া হয়নি। ১। রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর নিকট মেশকের চেয়েও অধিক পছন্দনীয়। ২। সমুদ্রের...
উত্তর: প্রকৃতই সন্তানের দুধের অভাব হলে মা রোজা ছাড়তে পারেন। যেমন- গর্ভের সন্তানের নিশ্চিত ক্ষতি হচ্ছে পরহেজগার ডাক্তার এমন মত দিলে প্রেগনেন্ট মায়েরাও রোজা ছাড়তে পারেন। এসব রোজা পরে সুবিধাজনক সময়ে কাজা করতে হয়। কাজা মানে এক রোজার বদলে এক...
উত্তর: রোজা অবস্থায় চোখে ঔষধ বা ড্রপ ব্যবহার: চোখে ড্রপ, ঔষধ, সুরমা বা মলম ইত্যাদি ব্যবহার করলে রোজা নষ্ট হবে না। যদিও এগুলোর স্বাদ গলায় উপলব্ধি হয়। কারণ, চোখে ঔষধ ইত্যাদি দিলে রোজা না ভাঙ্গার বিষয়টি হাদিছ ও ফিকহ শাস্ত্রের...