উত্তর : যদি একজন ঈমানদার বিশ্বস্ত ব্যক্তি চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দেয়, তাহলে রোজা রাখার ব্যাপারে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা যাবে। আর দুইজন মুসলমান যদি চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দেয়, তবে সে অনুযায়ী রোজা রাখতে পারবে এবং ভাঙতেও পারবে। মোটকথা, চাঁদ দেখার ব্যাপারে দুইজনের সাক্ষ্য পাওয়া চ‚ড়ান্ত কথা। কিন্তু একজন বিশ্বস্ত মুসলমানের সাক্ষ্যে রোজা রাখা যাবে না, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। প্রমাণপঞ্জি : সুনানু আবু দাউদ, সুনানু দারে কুতনী : কিতাবুস সাওম।উত্তর দিয়েছেন : মুমতাজুল ফুকাহা এ কে এম ফজলুর রহমান মুনশী...
উত্তর : নিয়ত হলো মনে মনে রোজা রাখার দৃঢ় সঙ্কল্প করা। সঙ্কল্প অবশ্যই করতে হবে। সঙ্কল্প করা না হলে রোজাই হবে না। এই নিয়ত বা সঙ্কল্প কি ফজরের পূর্বে করতে হবে নাকি নিদের দ্বিপ্রহর পর্যন্ত করা যাবে এ বিষয়ে ফিকাহবিদদের...
উত্তর : রোজার কোনো বাস্তব ও দৃশ্যমান অস্তিত্ব নেই। অন্যান্য ইবাদত নামাজ, জাকাত ইত্যাদির একটা বাহ্যিক অবয়ব রয়েছে। আর রোজা হলো পানাহার, কামাচার ইত্যাদি হতে বিরত থাকা। এর পশ্চাতে অন্তর্নিহিত থাকে শুধু নিয়ত। আর নিয়ত হলো একটা মানসিক অবস্থা মাত্র।...
উত্তর : যদি একজন ঈমানদার বিশ্বস্ত ব্যক্তি চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দেয়, তাহলে রোজা রাখার ব্যাপারে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা যাবে। আর দুইজন মুসলমান যদি চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দেয়, তবে সে অনুযায়ী রোজা রাখতে পারবে এবং ভাঙতেও পারবে। মোটকথা, চাঁদ দেখার...
উত্তর : বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কেউ যদি রোজাদারকে গালাগাল করে অথবা তার সাথে ঝগড়া-বিবাদ করতে আসে, তখন সে যেন বলে, আমি রোজাদার।’ রোজাদারের এমন বলার কারণ এই যে, রোজায় রয়েছে কৃচ্ছ-সাধন, প্রবৃত্ত দমন ও দৈহিক অবক্ষয়তা। তার প্রয়োজন ক্ষুৎ-পিপাসায়...
উত্তর : বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রোজা ঢালস্বরূপ।’ ঢাল শত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধ ও প্রতিহত করে। তেমনি রোজা দুনিয়ার জীবনে রোজাদারকে গোনাহ হতে রক্ষা করে। আর পরকালে তা জাহান্নাম হতে রোজাদারকে বাঁচায়। সুতরাং রোজার মর্যাদা রক্ষার্থে গোনাহের কাজ হতে বিরত থাকতে...
উত্তর : কোনো মহিলার গর্ভসঞ্চারের পর গর্ভপাত ঘটানো নিষিদ্ধ ও হারাম। গর্ভপাত ঘটানো কবিরা গোনাহ। এ সম্পর্কে আল কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘বল, এসো! তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য যা নিষিদ্ধ করেছেন, তা তোমাদের পড়ে শুনাই; তা এই- ক. তোমরা তার...
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আর নিশ্চয়ই জেনে রেখো, রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহপাকের নিকট মিশকের সুগন্ধি হতেও অনেক উত্তম।’ এতে প্রতীয়মান হয় যে, রোজাদারের মুখের শুষ্ক গন্ধ কারো পক্ষে দুঃসহ ও ঘৃণ্য হলেও আল্লাহপাকের নিকট তার মূল্য অপরিসীম। কেননা, আল্লাহর...
উত্তর : শেষ বিচারের দিন বান্দার কর্ম ও উক্তিসমূহ আল্লাহর নির্দেশমতো দেহ ধারণ করবে, তারপর তা পরিমাপ করা হবে। (উমদাতুল কারী : ১৬/৭৩৭)। মোট কথা, আখেরাতে আমলসমূহকে দৈহিক রূপ দেয়া হবে অথবা কোনো দেহে এগুলোকে প্রবিষ্ট করানো হবে। বাধ্য অনুগত...
উত্তর : রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘আদম সন্তানের প্রত্যেকটি নেক আমলের সওয়াব ১০ গুণ হতে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।’ কিন্তু আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘রোযা এই নিয়মের ব্যতিক্রম। কেননা তা একান্তভাবে আমারই জন্য। অতএব, আমিই (যে পরিমাণ ইচ্ছা) এর প্রতিফল দিব।’...
উত্তর : এক হাদিসে আছে ‘যে ব্যক্তি গুরুত্বসহকারে নিয়মিত নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে পাঁচভাবে সম্মানিত করবেন- ১. রিজিক বৃদ্ধি করে তাকে অভাবমুক্ত করবেন। ২. তার ওপর হতে কবরের আজাব সরিয়ে দেবেন। ৩. কিয়ামতের দিন আমলনামা তার ডান হাতে...
উত্তর : মানুষের জীবনে সমস্যা থাকবেই। ছোট-বড় যেকোনো সমস্যায় মুমিনের উচিত নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা। পূর্ণ একিনের সঙ্গে আল্লাহর সাহায্য চাইলে তিনি সমস্যা সমাধানের কোনো-না-কোনো পথ খুলেই দেবেন। এ ব্যাপারে কোরআনে পাকে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা ধৈর্য ও...
উত্তর : হ্যাঁ। নিয়মিত নামাজ আদায় করে গেলে মানুষের দারিদ্র্য দূর হয় এবং আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়। কোনো মানুষ যদি তার রিজিক বৃদ্ধির জন্য পরিশ্রম করার পাশাপাশি নিয়মিত নামাজ পড়ে আল্লাহর দরবারে রিজিকের জন্য প্রার্থনা করে, আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তার...