উত্তর : নামাজের রাকাত সংখ্যা খেয়াল রাখাও নামাজের মনোনিবেশের অংশ। নিজ থেকেই এ খেয়াল রাখতে ও আত্মবিশ্বাস তৈরিতে সচেষ্ট হতে হবে। রাকাত সংখ্যা লিখে রাখা বা কোনো চিহ্ন দিয়ে রাখা শরীয়তের ঐতিহ্যে নেই। সুতরাং এ পথে না যাওয়াই উত্তম। একান্ত ব্যক্তিগত কারণে সমস্যা যদ্দিন থাকে ইচ্ছে করলে আপনি যে কোনোভাবে হিসাব রাখতে পারেন। তবে, খুব খেয়াল রাখবেন এটি যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়। বিশেষ করে সমাজে যেন এ মন্দ অভ্যাসটি ছড়িয়ে না পড়ে। কেননা, এসব ছোট ছোট বিষয়ই নতুন রীতিতে...
উত্তর : রমজানের রোজা অন্যসময় কাজা করতে হলে রাতে তারাবী পড়তে হয় না। যদি কেউ দু’রাকাত দু’রাকাত করে যতটুকু ইচ্ছা নামাজ পড়ে সেটি তার জন্য নাজায়েজ হবে না। বরং তা নফল নামাজ হিসাবে সওয়াবের কারণ হবে। শেষ রাতে পড়লে তাহাজ্জুদ...
উত্তর : বিধিগতভাবে রমজানের রোজার সাথে তারাবীর তেমন কোনো সম্পর্ক নাই। দু’টো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। ফরজ রোজা রাখলে এর নির্দিষ্ট সওয়াব মানুষ পেয়ে যাবে। তারাবীর জন্য আলাদা সওয়াব। তারাবী না পড়ে রোজা রাখলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে, রমজানের...
উত্তর : আধা রাত পার হওয়ার আগে ইশা পড়ে নিতে হবে। যদিও তা সারা রাতই পড়া যায়। তবে, দেরী করলে মাকরুহ হয়। তারাবীর ক্ষেত্রে কোনো মাকরুহ সময় নেই। বারোটার পরে এমনকি সাহরীর শেষ সময় পর্যন্তও তারাবী পড়া যায়। তবে, সবশেষে...
উত্তর : নাইট্রোগ্লিসারিন হলো, এরোসল-জাতীয় ওষুধ, যা হার্টের জন্য দু-তিন ফোঁটা জিহ্বার নিচে দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখতে হয়। ওষুধটি শিরার মাধ্যমে রক্তের সাথে মিশে যায় এবং ওষুধের কিছু অংশ গলায় প্রবেশ করার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। অতএব, এতে রোজা ভেঙে...
উত্তর : এন্ডোস্কপি পরীক্ষা হলো চিকন একটি পাইপ, যার মাথায় বাল্ব জাতীয় একটি বস্তু থাকে। পাইপটি পাকস্থলীতে ঢুকানো হয় এবং বাইরে থাকা মনিটরের মাধ্যমে রোগীর পেটের অবস্থা নির্ণয় করা হয়। এই নলে যদি কোনো ওষুধ ব্যবহার করা হয় বা পাইপের...
উত্তর : পাইলস, ফিসার ও ফিস্টুলা ইত্যাদি রোগের পরীক্ষাকে প্রক্টোস্কপি বলে। মলদ্বার দিয়ে নল প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষাটি করা হয়। রোগী যাতে ব্যথা না পায় সেজন্য নলের মধ্যে গ্লিসারিন-জাতীয় কোনো পিচ্ছিল বস্তু ব্যবহার করা হয়। নলটি পুরোপুরি ভেতরে প্রবেশ করে না।...
উত্তরঃ যেভাবেই হোক ফরয রোযা রেখে স্বামী-স্ত্রী মিলিত হলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। এখানে স্বামীর মনে রোযার গুরুত্ব ও আল্লাহর হুকুমের মাহাত্ম্যের অভাব থেকে থাকবে। কারণ প্রবল ক্ষুধা, পিপাসা ও যৌনাকাক্ষা থাকা সত্বেও দিনের বেলা পানাহার ও বৈধ দৈহিক মিলন থেকে...
উত্তরঃ ফরয রোযা রাখা অবস্থায় দৈহিক মিলন পানাহারের মতোই নিষিদ্ধ। যে স্বামী-স্ত্রী ফরয রোযা অবস্থায় দৈহিক মিলনে চলে যান। তাদের রোযা ভেঙ্গে যায়। এভাবে রোযা ভাঙ্গলে শুধু কাযা করলে হয় না। কাফফারা করতে হয়। কাযা অর্থ এক রোযার বদলে এক...
উত্তরঃ আপনাকে রোযা রাখতে হবে। রোযা তখনই ছাড়া যেত যখন আপনার সন্তান দুধ না পেয়ে কষ্ট করতো। আপনি যদি অসহনীয় পর্যায়ের অসুস্থতা ও কষ্টে পড়তেন কিংবা জীবন নাশের মতো রোগী হয়ে পড়তেন। তখন আপনি রোযা ছেড়ে দিতে পারতেন। এখানে যে...
উত্তরঃ পারবেন। কারণ ব্রেস্ট ফিডিং একটি পবিত্র কাজ। এতে ওযু বা পবিত্রতা নষ্ট হয় না। সন্তানকে দুধ পান করানো মায়ের জন্য ইবাদতের সমান। অতএব, সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো অবস্থায় কুরআন তেলওয়াত করা যাবে। সূত্রঃ জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিকাহ ও ফতওয়া...
উত্তর : হার্টব্লক হয়ে গেলে ঊরুর গোড়া বা বাহুতে কেটে বিশেষ রগের ভেতর দিয়ে হার্ট পর্যন্ত যে ক্যাথেটার ঢুকিয়ে পরীক্ষা করা হয় তার নাম এনজিওগ্রাম। এনজিওগ্রামে রোজা ভাঙে না। এ যন্ত্রটিতে যদি কোনো ধরনের ওষুধ লাগানো থাকে, তারপরও রোজা ভাঙবে...
উত্তর: প্রকৃতই সন্তানের দুধের অভাব হলে মা রোজা ছাড়তে পারেন। যেমন- গর্ভের সন্তানের নিশ্চিত ক্ষতি হচ্ছে পরহেজগার ডাক্তার এমন মত দিলে প্রেগনেন্ট মায়েরাও রোজা ছাড়তে পারেন। এসব রোজা পরে সুবিধাজনক সময়ে কাজা করতে হয়। কাজা মানে এক রোজার বদলে এক...