উত্তর : স্বামী শারীরিক মেলামেশায় বাস্তবিকই সম্পূর্ণ অক্ষম হলে স্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদের কথা তুলতে পারে। আপসে হলে ভালো, না হয় আইনের আশ্রয় নিতে পারে। তবে এসব বিষয় সত্যের ভিত্তিতে হতে হবে। অন্য কোনো উদ্দেশ্য থেকে, অসত্য বা অন্যায়ভাবে স্বামীকে দায়ী করে সংসার ভেঙ্গে দেওয়া বড় গুনাহের কাজ। সন্তান জন্মদানে অক্ষম হওয়া স্বামীর জন্য কোনো আমলযোগ্য ত্রুটি নয়। যেমন এটি স্ত্রীর বেলায়ও কোনো ত্রুটি নয়। শুধু এ কারণে বিবাহ ভাঙ্গা যায় না। যথাসম্ভব চিকিৎসা নেওয়ার পরও যদি সন্তান না হয়, তাহলে...
উত্তর : নাক কান ফোঁড়ানো বা না ফোঁড়ানো মেয়েদের বেলা সমান। উভয়টিই জায়েজ, তবে ফোঁড়ানো হলে অলংকার পরা উত্তম। কেননা, অপবিত্র শরীর পবিত্র করার সময় নাক কানের অলংকারের ছিদ্রেও পানি পৌঁছানো জরুরী। আর তা অলংকার নেড়েচেড়েই পৌঁছাতে হয়। অলংকার ছাড়া...
উত্তর : স্থায়ী উল্কি আঁকা হারাম। মুসলিম হিসাবে খোদাদত্ত ত্বক ছিদ্র বা খোদাই করা হারাম। পশ্চিমারা এসব করে, মুসলমান এসব করতে পারে না। বিবেকবান অমুসলিমরাও এসব করে না। রোনালদো একজন বিখ্যাত খেলোয়াড়। উল্কি করার কারণে বিপদগ্রস্থকে রক্ত দেয়া যাবে না...
উত্তর : ইচ্ছাকৃতভাবে অহংকার বশত লুঙ্গি বা প্যান্ট পায়ের গিরার নিচ পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখা কবিরা গুনাহ। অহংকার বশত পরিহিত পোশাক আশাকের অন্য কোনো রূপও জায়েজ নেই। যা জায়েজ নেই বা কবিরা গুনাহ, তা করা হারাম। হারাম কাজ ত্যাগ করা ঈমানদারের...
ইসলামে পবিত্রতার গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ, এটি হাদিসের কথা। নবী করিম সা. বলেছেন, তোমরা পেশাব থেকে বেঁচে থাকো। কারণ, অধিকাংশ কবরের আজাব এ জন্যই হয়ে থাকে। পবিত্র কোরআন শরীফে মসজিদে কুবায় অবস্থানকারী একদল সাহাবীর পবিত্রতা অর্জনের বিষয়টি আল্লাহ তায়ালার...
উত্তর : শরীয়ত অনুযায়ী এমন গোনাহ’র পর অজু গোসল জায়েজ আছে। যেহেতু নামাজ পড়ার হুকুম চালু থাকে। সুতরাং তার শরীর নাপাক থাকে না। মাতলামী দূর হওয়ার পর তার জন্য পবিত্র হওয়া ও নামাজ পড়া ফরজ। বিধিগতভাবে ৪০ দিন নাপাক ধরা...
উত্তর : কাজি যদি একজন সাক্ষী হন, তাহলে অন্যজনসহ তো সাক্ষী দু’জনই হলেন। অতএব, বিবাহ সহিহ হবে। সাক্ষী কমপক্ষে দু’জন হতে হয়। প্রয়োজনে তাদের নাম ঠিকানা লিখতে হয়। মূলত শরীয়তে সাক্ষী থাকাই জরুরী। এ সাক্ষী মসজিদ বা বিয়ের মজলিসের সব...
উত্তর : নামাজ পড়ার জন্য বিভিন্ন ওয়াক্তের নামাজে দীর্ঘ, মধ্যম ও হ্রস্ব সূরা পাঠের নিয়ম আছে। এ নিয়ম মানা সুন্নাত। আলেম হাফেজ ছাড়া সাধারণ মানুষের পক্ষে এ নিয়ম মানা অনেক সময় সম্ভব হয় না। যারা জামাতে নামাজ পড়েন, যোগ্য ইমাম...
উত্তর : যেসব শিশু নিজের পেশাব পায়খানা, চলাফেরা, আচরণ বিষয়ে এখনও সচেতন হয়নি, তাদের মসজিদে না আনাই ভালো। যে বয়সে গুরুত্বপূর্ণ অফিসে, হসপিটালে শিশুদের নেওয়া নিষেধ থাকে, মসজিদেও এত কম বয়সে আনা যাবে না। কারণ, তার কারণে পুরো মসজিদের নামাজ...
উত্তর : আপনার স্ত্রী আপনার কথার গুরুত্ব ও যৌক্তিকতা বুঝতে পারলে অবশ্যই তা পালন করবেন। আপনি তাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলুন। স্ত্রীর যে ধরনের অবাধ্যতা বা সমস্যার ক্ষেত্রে তাকে তালাক প্রদানের নিয়ম শরীয়তে রয়েছে, আপনার সমস্যাটি এর ধারে কাছেরও না।...
উত্তর : মেলায় করা যাবে। সরাসরি পূজার উৎসবে না করাই বাঞ্ছনীয়। তবে, পুজা উপলক্ষে নিজের কেনাকাটা বৃদ্ধি বা ব্যবসা ভালো হলে এতে কোনো দোষ নেই। সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান...
উত্তর : মসজিদের জামাতের বিকল্প হিসাবে এ জামাত চলবে না। যদি কোনো কারণে ঘরেই নামাজ পড়তে হয়, আর তা জামাতে পড়ে সেটা গ্রহণযোগ্য। ফরজ নামাজ ছাড়া তো আর কোনো নামাজে জামাত নেই। ফরজ নামাজ যখন ঘরে পড়ার মত কারণ ঘটে...
উত্তর : অপারগ অবস্থায় নেওয়া যাবে। সাধারণ অবস্থায় নেওয়া যাবে না। সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী...
উত্তর : ঈদগাহ মূলত মুসাল্লা। এর বিধান অনেকটাই মসজিদের মত। তবে, যেহেতু এটি মসজিদ নয়, তাই এর মেন্টেইন মসজিদের মত করা সম্ভব নয়। শরীয়া সম্মত ওয়াকফই যথেষ্ট। সরকারী নিয়মে ওয়াকফ না হলেও চলবে। মৌখিক ওয়াকফ বা স্ট্যাম্পে লেখা সবই সমান।...
উত্তর : আপনি নানারকম তাকবীর বা নিয়ত দেখেছেন। সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি হচ্ছে, হাতে তালু কিবলামুখী রাখা এবং দু’হাত কানের লতি বরাবর কাঁধ পর্যন্ত তোলা। তাকবীর বলে হাত বাঁধা। লতি স্পর্শ করার প্রয়োজন নেই, হাতের তালু থাকতে হবে কিবলামুখী। কাঁধ পর্যন্ত...