উত্তর: ছবিসহ আইডি কার্ড পরে নামাজ না পড়াই উত্তম। তবে, যদি ছবি খুব ছোট হয় যা লক্ষ্য করে না দেখলে দেখা যায় না। দূর থেকে ছবি প্রদর্শনী বলে মনে হয় না, এমন ছবিওয়ালা আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে নামাজ পড়লে নামাজ হয়ে যাবে। যেমন পকেটে ছবি থাকলে কিংবা টাকার নোটে ছবি নিয়ে নামাজ হয়। কেউ খেয়াল করে যদি আইডিটি পকেটে রাখেন বা ছবিটি জামার কোথাও গোপন করে ফেলেন তাহলে নামাজ ত্রুটিমুক্ত হয়। বাধ্য হয়ে যে বিষয়গুলো করতে হয়, জায়েজ পর্যায়ে থাকলে...
উত্তর: সাধারণ বিবেচনায় জায়েজ। কারণ এটি একটি সেবা। কিনে বিক্রি করতে হয়। নাজায়েজের যে বিষয়টি আছে সেটি বিশ্লেষণ সাপেক্ষ। তাকওয়ার বিচারে কেউ এটিকে এড়িয়ে চলতেই পারে। সব ব্যবসা মূলত মুবাহ। যদি এতে হারামের স্পষ্ট উপাদান না থাকে। এ হিসাবে ওয়াইফাই...
উত্তর : অপচয়কারী শয়তানের ভাই। এটা কোরআন শরীফের আয়াত। এখানে অপচয় অর্থ হারাম পথে ব্যয় করা, যার নাম ‘তাবযীর’। হালাল ক্ষেত্রে অপচয় গুনাহের কাজ, যাকে শরীয়ত ‘ইসরাফ’ বলে থাকে। তবে অপচয় কোনটাকে বলে তা শরীয়ত থেকে প্রত্যেককে শিখতে হবে। আমার...
উত্তর: আরবী ভাষায় আব্দুল মুত্তালিবের অর্থ প্রভু বা গোলামের গোলাম নয়। এর অর্থ বালক বা বৎস। এজন্য ওই অর্থে আব্দুল মুত্তালিব রাখা যাবে। আব্দুর রব নাম রাখতে কোনো অসুবিধা নেই। আল্লাহর যাতি ও সিফতি নামের সাথে আবদ/গোলাম ছাড়াও সমার্থবোধক অনেক...
উত্তর: নাটক বা মুভিতে আল্লাহর নবী ও রাসূলগণের জীবনীভিত্তিক প্রদর্শনী মোটেও সমর্থনযোগ্য নয়। এতে শিক্ষার চেয়ে তাদের শানে বেয়াদবি বেশি হয়। তাছাড়া নারী পুরুষের সম্মিলিত অভিনয় দেখার নিষিদ্ধতাও শরীয়তে রয়েছে। এসব নিরুৎসাহিত করতে হবে। সূত্র: জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও...
উত্তর: ইসলামী শরীয়া অনুসরণকারী ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি শরীয়তসম্মত যে কোনো পদ্ধতিতে ঋণ দেয়, অংশিদার হয় কিংবা বিনিয়োগ করে, তবে তাদের সহায়তা নিয়ে বাড়ী করা যাবে। শর্ত হচ্ছে তাদের পদ্ধতিটি শরীয়তসম্মত হওয়া। সুনির্দিষ্ট কেইসটি সামনে নিয়ে বিজ্ঞ আলেমের সাথে...
উত্তর: যথা সম্ভব চেষ্টা করবেন মহিলা ডাক্তার ও নার্সদের স্পর্শ বা সংগ এড়াতে। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে চিকিৎসার প্রয়োজনে জরুরী পরিমাণ সহায়তা নেওয়া যাবে। যেমনটি পর্দানশীন নারীদের বেলায়ও শরীয়ত জায়েজ রেখেছে। যদি মহিলা ডাক্তার পাওয়া না যায়, তাহলে নারীরাও...
উত্তর: কোনো অঙ্গের পুরোটাই যদি না থাকে, তাহলে এমন পশুর কোরবানী শুদ্ধ হয় না। আপনার পশুর যে পরিমাণ খুঁতযুক্ত এতে কোরবানী হয়ে যাবে। সূত্র: জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফতওয়া বিশ্বকোষ।উত্তর দিয়েছেন: আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী...
উত্তর: ইসলামে অধিক কোরবানী দিতে কোনো বাধা নেই। একাধিক কোরবানী কিংবা আরও অধিক কোরবানী ইসলামে প্রশংসিত। নবী করিম সা. একবার নিজের পক্ষ থেকে ৬০ টি পশু কোরবানী দিয়েছিলেন। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যত খুশি কোরবানী করা যেতে পারে। সূত্র: জামেউল ফাতাওয়া,...
উত্তর: কোরবানী বেশি পরিমাণে দেয়া, সুস্থ সবল ও সুন্দর পশু দেয়া, এমনকি এতে অধিক টাকা পয়সা ব্যয় করা শরীয়তে প্রশংসনীয়। শর্ত হচ্ছে, এখানে যেন নিয়ত ঠিক থাকে। কোরবানীটি কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যেই হয়। লোক দেখানো বা গর্ব অহংকারের কোনো বিষয় এখানে...
উত্তর: নবী করিম সা. এর নামে অর্থ তার পক্ষ থেকে। মূলত কোরবানী হয় শুধুমাত্র আল্লাহর নামেই। এ নামের অর্থ আল্লাহর উদ্দেশ্যে। আর কোরবানীদাতার ক্ষেত্রেও বলা হয় অমুকের নামে। এ নামে অর্থ হচ্ছে, তার পক্ষ থেকে। এভাবে নবী করিম সা. এর...
উত্তর: কোরবানীতে কিছুটা ছাড় এমন রয়েছে যে, এক পরিবারের পক্ষ থেকে একটি কোরবানীই যথেষ্ট। যদি প্রত্যেকেরই আলাদা অর্থবিত্ত থাকে, তাদের হিসাব-কিতাবও ভিন্ন থাকে তাহলে আলাদা আলাদা কোরবানী ওয়াজিব হবে। এক ব্যক্তির আর্থিক ব্যবস্থাপনায় যত পোষ্য আছে তাদের পক্ষে একজনের কোরবানী...
উত্তর: সবার নাম উচ্চারণ করা বা জবাইকারীর তা উল্লেখ করা জরুরী নয়। কোরবানীদাতারা নিয়ত করে নিলেই চলবে। সূত্র: জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফতওয়া বিশ্বকোষ।উত্তর দিয়েছেন: আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী...
উত্তর: ফিকহে হানাফী অনুসারে ভাগ রাখা যাবে। যারা এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন তাদের মাসয়ালা অন্যরকম হতে পারে। আমাদের দেশে যেহেতু প্রায় সব মুসলমান হানাফী ফিকাহর অনুসারী। সুতরাং আমাদের সমাজে প্রচলিত নিয়মে কোরবানির পশুতে আকিকার ভাগ রাখা যাবে। সূত্র: জামেউল...
উত্তর: জবাইকারী যদি মুসলিম হয় আর ইচ্ছাকৃতভাবে বিসমিল্লাহ ত্যাগ না করে তাহলে খাওয়া যাবে। এ হুকুম কোরবানী ছাড়াও প্রযোজ্য। কেননা, ঈমানদারের মুখে বিসমিল্লাহ উচ্চারণ ভুলক্রমে ছুটে গেলেও তার হৃদয়ে বিসমিল্লাহ বা আল্লাহর নাম আছে। সূত্র: জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফতওয়া...