বাংলাদেশে গণমাধ্যম উত্থান ও বিকাশের বিভিন্ন বাঁক পেরিয়ে এ স্থানে এসেছে। সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মতো আরেক স্তম্ভ হিসাবে গণমাধ্যমকে বিচার করার বিষয়টি গণতন্ত্রচর্চাকারী সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বিশেষভাবে সত্য এ কারণে যে, সমাজে বা রাষ্ট্রে যা কিছু ঘটে তার প্রতিবিম্ব সৃষ্টির ভূমিকা থাকে গণমাধ্যমের। আর সংবাদপত্রের আয়নায় প্রতিফলিত চিত্র থেকে রাষ্ট্র পরিচালনাকারীরা তাদের নীতি প্রণয়ন ও রাষ্ট্র চালনার জন্য সাহায্য নিয়ে থাকেন। মুক্তভাবে এই ভূমিকাকে যখনই স্বাগত জানানো হয়েছে তখনই...
যে কোনো দিন জন্ম নিচ্ছে- এমন খবর প্রচার হতেই চারদিকে আলোচনার ঝড়। যে করেই হোক জন্মটা আটকাতে হবে। শত চেষ্টার পরও নেতিবাচক আলোচনাকারীদের মুখে ছাই ছিটিয়ে ৪ জুন ভোরের সূর্য পূর্বাকাশে উদিত হওয়ার আগেই তার জন্ম হলো। সালটা হচ্ছে ১৯৮৬।...
দৈনিক ইনকিলাব জাতীয় পত্রিকাসমূহের মধ্যে অনন্য একটি নাম, যা শুধু দেশ ও জনগণের কথা বলে। এদেশের ৯০ ভাগ মুসলমানের হৃদয়ের স্পন্দন দৈনিক ইনকিলাব। ইনকিলাব ইসলামি ও মুসলিম সভ্যতার কথা তুলে ধরে এবং বিজাতীয় আগ্রাসী সংস্কৃতির ছোবল থেকে মুক্ত থেকে জাতিকে...
সংবাদপত্রজগতে বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছিল ‘ইনকিলাব’। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, বৈচিত্র্যময় ফিচার, সময়োপযোগী কলাম ও দুঃসাহসী সম্পাদকীয়ের কল্যাণে দৈনিক ইনকিলাব স্বল্প সময়ের মধ্যে পাঠক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি পত্রিকাটির জন্য ছিল বাড়তি আকর্ষণ। তখন ফটোকম্পোজ ছিল মুদ্রণ শিল্পের নতুন সংযোজন, যা...
ছারছীনা শরীফের পীর হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মাদ মোহেব্বুল্লাহ্ পরম করুণাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি। বাংলাদেশে যে কয়টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হয় তন্মধ্যে ‘দৈনিক ইনকিলাব’ অন্যতম। দেশের ইসলামপ্রিয় জনতার কণ্ঠস্ব^র ও মুখপত্র হিসেবে দৈনিক ইনকিলাবের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। মুসলিম তাহযীব-তমদ্দুনের...
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপিদৈনিক ইনকিলাব নিরেপক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে নজির স্থাপন করেছে। ইসলামী শিক্ষা ও মূল্যবোধের প্রচার-প্রসারে তার অবদান অবিস্মরণীয়। স্বাধীনতার চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি এর...
তিন দশক পার করে তিন যুগে পদার্পণ করলো দৈনিক ইনকিলাব, ৩৬ বছরে পা রাখলো। এত বছর কীভাবে গুজরে গেল তা ভাবতে গেলে বিশ্বাস হতে চায় না। শুরুতে এমন সব কথা শুনা যেত, যার সারমর্ম ছিল, ‘ইনকিলাব’ প্রকাশ-প্রকাশনা করতে যাচ্ছেন মাওলানা...
খুব সফল, আকর্ষণীয়, প্রার্থিত ও ক্যারেশমেটিক ব্যক্তির সাফল্যের চিত্র যখন সাহিত্যের ভাষায় ফুটিয়ে তোলা হয় তখন বলা হয়, ‘তিনি এলেন, দেখলেন ও জয় করলেন’। বাংলাদেশের সাংবাদিকতার আকাশে ১৯৮৬ সালের ৪ জুন দৈনিক ইনকিলাবের উদয়ও ছিল ঠিক এমনই। কোটি কোটি বাংলাভাষীর...
ধীরে ধীরে সবই কেমন ধোঁয়াশা হয়ে আসছে। পেছন ফিরে দেখলে সব কিছু আর স্পষ্ট মনে হয় না। দৈনিক ইনকিলাব প্রকাশিত হলো ৪ জুন, আমি নিয়োগপত্র পেলাম খুব সম্ভাবত: ৯ জুন। নিয়োগের আগে পত্রিকার মহাসম্পাদক এ. কে. এম মহিউদ্দিন সাহেব আমাকে জিজ্ঞেস...
সাংবাদিক জীবনের সবচেয়ে বেশি সময়- স্মৃতিমগ্ন সময় কাটিয়েছি আমি ২/১ আর.কে মিশন রোডের ইনকিলাব ভবনে। নানা কারণেই আমার কাছে অন্য রকমের গুরুত্ব বহন করে এই সময়কাল। এখানে আমার কর্মজীবন ছিল শুরু থেকে পরবর্তী প্রায় ২৯ বছর। এর আগে দৈনিক আজাদ-এ...
আজকে ৪ জুন ২০২১, ইনকিলাব পদার্পণ করল ৩৬ বর্ষে। যে মহামহীম রাব্বুল আলামীন বিরতিহীন ও নিয়মিতভাবে পত্রিকাটি সুদীর্ঘ তিনটি যুগ ধরে প্রকাশিত হওয়ার তাওফীক দান করলেন, তাঁর আলীশান দরবারে আমরা পেশ করছি লাখো শুকরিয়া। স্মরণ করছি, এর মহান প্রতিষ্ঠাতা, কিংবদন্তি...