পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উখিয়ার উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণে মা-মেয়েসহ একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। এরা হলেন, পালংখালীর ১ নম্বর ওয়ার্ড বালুখালীর রোহিঙ্গা বস্তির গহীন পাহাড়ি এলাকায় বাস করা মো: ছিদ্দিকের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৩৫), তার মেয়ে রুবিনা আকতার (১১), সাবেকুন নাহার সাবুকা (৯) ও ছেলে মুহাম্মদ হামিম (৫)। এসময় দুইজন আহত হয়েছেন, এরা হলেন, আহতরা হলেন মুহাম্মদ ছিদ্দিক (৪৫) ও তার দু’বছর বয়সী ছেলে কালা। আহত বাবা-ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ক্যাম্পের গহীন পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া উখিয়া থানার পরিদর্শক মিজান বলেন, খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থল দুর্গম ও গহীন পাহাড়ি এলাকা। নিহতদের আশপাশে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা জানায়, রাত পৌনে ১টার দিকে হাতিরপাল আক্রমণ করে। এসময় তারা ঘুমাচ্ছিলেন। হাতিরপাল বাড়িটি শুঁড় দিয়ে ভাঙা শুরু করলে তাদের ঘুম ভাঙে। এসময় আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার ও প্রতিহত করতে চাইলে হাতিরপাল আক্রমণ করে পায়ে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মা-মেয়ে-ছেলেসহ চারজন মারা যায়। অন্যরা বাসা থেকে বেরিয়ে দিগিবেদিক পালায়। বেলা ২টা পর্যন্ত লাশ ঘটনাস্থলেই ছিল। স্থানীয়ভাবে তাদের দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বনবিভাগের বিট অফিসার মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হাতিরপাল ঝোপঝাড় ও হালকা পানি রয়েছে এমন জায়গা পছন্দ করে। এরা কচি বাঁশের পাতা ও কলাগাছ এবং বিভিন্ন বনজ লতাপাতা খায় এবং চলাচল করে রাতের বেলায়। কিন্তু রোহিঙ্গার আবাস মহাসড়ক থেকে এখন প্রায় তিন থেকে পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে যাওয়ায় নির্বিচারে ঝোপঝাড় ও লতাপাতা কেটে ফেলা হয়েছে। এতে অভয়ারণ্য হারিয়ে চলাচলের পথে হাতিরপাল সামনে যা পায় তাতে আক্রমণ করে। এছাড়া কুপি কিংবা চুলার আগুন দেখলে বিচলিত হয় হাতিরপাল। তাই হাতির আক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি।
পালংখালী ইউপির বালুখালী ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন চৌধুরী জানান, বালুখালী অস্থায়ী শিবির ও কুতুপালং ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকার ঝুপড়ি বাড়িতে বন্যহাতির আক্রমণে শিশুসহ চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে। ভাঙচুরের কবলে পড়েছে অসংখ্য রোহিঙ্গা ঝুপড়ি ঘর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।