পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সংসদ ভেঙে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সমতা বিধান করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি। সেই সঙ্গে ভোট অনুযায়ী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু, সংরক্ষিত নারী আসন ১০০ তে উন্নীত করাসহ ১৭ দফা সুপারিশ করেছে দলটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সিপিবি সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন এখন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করতে হবে। সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে সংসদ ও নির্বাচনকালীন সরকারের কর্মকান্ড নিয়ে কথা বলেন সেলিম। তিনি বলেন, সংসদ ভেঙে দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। তত্ত¡াবধায়ক বা সহায়ক বা কোনো সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। সিপিবির প্রস্তাব-তফসিল ঘোষণার ঠিক আগে বিদ্যমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সমতা বিধান করতে হবে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কর্মকান্ড পরিচালিত হবে ইসির অধীনে, কোনো সরকারের অধীনে নয়। এ উদ্দেশে সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে। নির্বাচনকালীন সময় সরকারের কতৃত্বকে সাংবিধানিকভাবে সঙ্কুচিত করে তত্ত¡াবধানমূলক ও অত্যাবশ্যক রুটিন কিছু কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। যতদিন সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে, ততদিন আরও তিনটি ব্যবস্থা রাখার সুপারিশ করে দলটি।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা ১০০ তে উন্নীত ও সরাসরি ভোট করতে হবে, নির্বাচিত প্রতিনিধি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ওই প্রতিনিধিকে প্রত্যাহারের বিধান করতে হবে, না ভোটের বিধান যুক্ত করতে হবে। এছাড়া অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেয়ার ব্যবস্থা করা, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর তালিকা জমার বিধান বাতিল করা, জাতীয়ভিত্তিক সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু করা, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী হতে হলে কোনো ব্যক্তিকে কমপক্ষে ৫ বছর রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য থাকা, নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করা, নির্বাচনে সন্ত্রাস, পেশিশক্তির প্রভাব ও দুর্বৃত্তমুক্ত করা, নির্বাচনে ধর্ম, সা¤প্রদায়িকতা ও আঞ্চলিকতার অপব্যবহার রোধ করা, নির্বাচনে সকলের সম-সুযোগ নিশ্চিত করা, নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণে ও নির্বাচন পরিচালনায় স্বচ্ছতা বিধান করা, নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী আইন ও বিধির সংস্কার করা, নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য স্বতন্ত্র আদালত গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে সিপিবি। ইসির ধারাবাহিক সংলাপে এ পর্যন্ত ৩২টি দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ করল ইসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।