পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সদ্য এসএসসি পাশ গরীব ঘরের এক সুন্দরী তরুনীকে ধর্ষণের পর ধর্ষিতা ও তার মাকে মাথা ন্যাড়া করার ঘটনায় দায়েরকৃত দুটি মামলার চার্জশিট বিচারিক আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ। মামলা দায়েরের দিন থেকে দুই মাস এগারো দিন পর গতকাল সন্ধ্যায় এ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হল। চার্জশিটে প্রধান আসামী আলোচিত তুফান সরকারসহ ১৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। এই ১৩ জনের মধ্যে ধর্ষণ মামলায় তুফানসহ ১০ জন এবং নির্যাতন অপহরণ ও মাথা ন্যাড়া করার ঘটনায় ওই ১০ জনের সাথে আরও ৩ জন যোগ করে ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার ওসি (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ।
তুফান ছাড়া চার্জশিট ভুক্ত অনান্য আসামীরা হলো, তুফান সরকারের স্ত্রী আশা সরকার, শ্যালিকা পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি, শাশুড়ী রুমি খাতুন, শ্বশুর জামিলুর রহমান রুনু, তুফানের সহযোগী আতিক, মুন্না, আলী আজম দিপু, রূপম, শিমুল, তুফানের গাড়ি চালক জিতু ও নাপিত জীবন রবিদাস ও রুমকির সহযোগি ও প্রতিবেশি আঞ্জুয়ারা বেগম। উল্লেখ্য গত ১৭ জুলাই তুফান সরকার সুন্দরী ওই তরুনিকে কৌশলে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই ঘটনার পর গত ২৭ জুলাই তুফানের শ্যালিকা বগুড়ার পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির বাসায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষিতা ওই মেয়ে ও তার মাকে নির্যাতনের পর মাথার চুল নাপিত ডেকে এনে ন্যাড়া করে দেয়া হয়। ্ওই ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ২৯ জুলাই বগুড়া সদর থানায় দুটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ ঘটনার পরপরই প্রধান আসামী তুফান সরকারকে এবং দুদিন পর তুফানের স্ত্রী আশা , শাশুড়ি রুমি খাতুন ও শালিকা পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিকে গ্রেফতার করে। পরে অনান্য আসামীর মধ্যে তুফানের শ্বশুর জামিলুর রহমান রুনু, তুফানের সহযোগী আতিক, মুন্না, আলী আজম দিপু, রূপম, শিমুল, জিতু ও নাপিত জীবন রবিদাসকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে প্রধান আসামী তুফান সরকারকে বগুড়া কারাগার থেকে কাশিমপুরে স্থানান্তর করা হয়। তুফানের শশুর জামিলুর রহমান রুনু জামিনে মুক্ত আছে। তুফানের স্ত্রী আশা, শাশুড়ি রুমি খাতুন ও শালিকা পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি ও তুফানের সহযোগী আতিক, মুন্না, আলী আজম দিপু, রূপম, শিমুল, জিতু ও নাপিত জীবন রবিদাস বগুড়া কারাগারে রয়েছে। শিমুল নামের এক আসামি এখনও গ্রেফতার হয়নি। ঘটনার পরপর বগুড়াসহ দেশের অনান্য জায়গায় তুফান ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমুলক বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে। গনমাধ্যমগুলো ফলাও করে প্রচার করেছে সেসব খবর। অন্যদিকে নিরাপত্তার কারনে মা ও মেয়েকে রাজশাহীতে সেফ হোম ও ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে আদালতের নির্দেশে।
চাঞ্চল্যকর এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (অপারেশন) মো: আবুল কালাম আজাদ জানান, বগুড়া অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তুফানকে প্রধান আসামী করে ১২ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতন মামলায় আসামী করে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে। মামলার বাদি ১০ জনের নাম ধরে মামলা দায়ের করলেও পরবর্তি সময় তদন্তে আরও ৩জনকে আসামী করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।