পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বল এখন মিয়ানমারের কোর্টে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়, কোনো উসকানিতে পা দিতে চায় না। এ ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের সমাধানের পথ খুঁজতে বলা হয়েছে। তারাই এর সমাধান দিতে পারবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা আত্মহননের পথ বেছে নেব না। বাংলাদেশ কূটনৈতিক উপায়েই এই সঙ্কট থেকে উত্তরণের কথা ভাবছে। এই সমস্যা আমরা কূটনৈতিকভাবে সমাধান করব।
গতকাল সোমবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ২৮টি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বর্বর নির্যাতন শুরু হওয়ার পর একাধিকবার কূটনীতিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করা হলেও এই প্রথম মিয়ানমারকেও ব্রিফিংয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়। গতকালের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়াসহ অস্থায়ী সদস্য মিসর, ইতালি, সুইডেন ও জাপানের রাষ্ট্রদূত ও সিনিয়র কূটনীতিকরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, স্পেন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত বা সিনিয়র কূটনীতিকরা এবং আসিয়ান থেকে মিয়ানমার, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেইয়ের রাষ্ট্রদূতরা ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্য দেশের মধ্যে ভ্যাটিক্যান, ভারত, নরওয়ে, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত/সিনিয়র কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চলতি মাসেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার সফরে যাবেন, সেখানেও আলোচনা হবে। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও মিয়ানমার যাবেন। কূটনৈতিক উপায়েই বাংলাদেশ এই সঙ্কট থেকে উত্তরণের কথা ভাবছে।
যারা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিকে ‘নতজানু’ বলছেন তাদের সমালোচনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, কারো উসকানিতে যুদ্ধের পথে বাংলাদেশ যাবে না। সমালোচনাকারীদের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, টক শোতে যা বলা হচ্ছে এটা কী ধরনের কথাবার্তা! আমরা তো যা করার তা করছি। বিশ্ব স¤প্রদায়ের সব গুরুত্বপূর্ণ দেশ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। এখানে কমতিটা কোথায়? তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যারা সমালোচনা করেন, তারা না জেনেই তা করছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে আমাদের সবচেয়ে বড় পর্যটন এলাকা। সেখানে ঘটছে এই ঘটনা। কাজেই এ সমস্যার সমাধানে আমাদের দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে সবার যোগ দেয়া উচিত।
মন্ত্রী বলেন, নতজানু মানে কি ডাইরেক্ট যুদ্ধ করব? এটা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ। তার কন্যার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নত দেশের জন্যও আমরা এখন রোলমডেল। আমরা কেন যুদ্ধে জড়াব? যুদ্ধ হলে তো সবকিছু নষ্ট হয়ে যাবে, যা কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান করা যায় সেখানে আমরা কেন সংঘাতের পথে যাব?
এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, কেউ যুদ্ধের কথা বললেই আমরা যুদ্ধ করব না। আমরা কেন আত্মহত্যা করতে যাব? কেন আত্মহননের পথ বেছে নেব?
গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ মিলিশিয়াদের জাতিগত নিধনযজ্ঞের শিকার হয়ে পাঁচ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নিহত হন। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বর্বর হামলার মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে প্রায় সোয়া পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।