পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গাদের কলেরার টিকা খায়ানো হবে আজ (মঙ্গলবার) থেকে। কলেরার মতো সংক্রামক রোগ যেন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের ভেতর ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য এই টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাথমকি ভাবে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সাড়ে ছয় লাখ টিকা খাওয়ানো হবে। পরবর্তীতে ৫ বছরের নীচে আরও আড়াইলাখ শিশুকে এ টিকা খাওয়ানো হবে।
ইতিমধ্যে ৯লাখ মুখে খাওয়া কলেরা ভ্যাক্সিন কক্সবাজার পৌছেছে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। মন্ত্রী জানান, প্রথম রাউন্ডে ১০ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম চলবে। দ্বিতীয় রাউন্ডে ৩১ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। এসময় এক বছর থেকে ৫ বছর বয়সী সব শিশুকে অর্থাৎ আড়াই লাখ শিশুকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা খাওয়ানো হবে। উখিয়া উপজেলায় প্রতিদিন ৫জনের সমন্বয়ে গঠিত ১৫০টি টিম টিকা খাওয়ানোর কাজ করবে। গড়ে দিনে ৭৫ হাজার জনকে টিকা খাওয়ানো হবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচি।
মোহাম্মদ নাসমি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা একটি মানবিক বিপর্যয়। সম্প্রতি এ ধরনের এতোবড় মানবিক বিপর্যয় পৃথিবীর কোথাও ঘটেনি। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি মিয়ানমার সরকারের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মায়ের মমতা দিয়ে তাদের কোলে টেনে নিয়েছেন। তাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। তারা যেন কোন ধরনের রোগ-শোকে না ভোগেন সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা) সিরাজুল ইসলাম, সচিব (স্বাস্থ্য সেবা) সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রনালয় ও বিভিন্ন দাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।