নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : নিরুত্তাপ ড্রয়ের দিকে এগুতে থাকা চতুর্থ রাউন্ডের শেষ দিনের খেলায় হঠাৎ উত্তাপ ছড়ালো শামসুর রহমানের কল্যানে। তার ঝড়ো সেঞ্চুরির সুবাদে চট্টগ্রাম বিভাগকে চোখ রাঙানিও দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ইরফান শুক্কুরের দৃড়তায় ম্যাচটি ড্র করে হয় চট্টগ্রাম। প্রকৃতির কাছে হার মেনে ১৯তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডের বাকি ম্যাচগুলোও বরণ করেছে একই ভাগ্য।
বলার মত তেমন রান করেননি শুক্কুর। তবে ৩৭ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়া দলকে উদ্ধার করেন ১১১ বলের (২১ রান) লড়াকু এক ইনিংস খেলে।
এর আগে ৮ উইকেটে ২১৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা চট্টগ্রাম অল আউট হয় ২৬১ রানে। দশ নম্বর ব্যাটসম্যান ওয়াহিদুল আলম করেন ঝড়ো ফিফটি (৩২ বলে ৫৮ রান)। ওয়াহিদুল যেখানে শেষ করেন মেট্রোর হয়ে সেখান থেকেই যেন শুরু করেন শামসুর। মাত্র ৬৭ বলে ৮ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ১০২ রান করেন এই ওপেনার। প্রথম ইনিংসে ১০৮ রানে এগিয়ে থাকা মেট্রোও ৩ উইকেটে ১৬৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে জয়ের গোপন স্বপ্ন দেখা শুরু করে। চট্টগ্রামের সামনে তখন ২৭৪ রানের লক্ষ্য। ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে মেট্রোর সেই স্বপ্ন ফিকে করে দিলেও সৈকত আলী ও নাহিদুজ্জামানের বোলিংয়ে আবারো স্বপ্ন দেখতে থাকে মেট্রো। কিন্তু সেই স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান ইরফান শুক্কুর। তবে শুক্কুর বা শামসুর নন, ড্র ম্যাচে অল-রাউন্ডার নৈপূণ্যের কারণে ম্যাচসেরা হয়েছেন মোহাম্মাদ আশরাফুল।
দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে বগুড়ায় ভয় পাইয়ে দিচ্ছিল সিলেট বিভাগের প্রথম ইনিংসের ভঙ্গুর ব্যাটিং। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে ম্যাচ ড্র করে তারা। সিলেটের ওপেনার ইমতিয়াজ উপহার দেন ১০৮ রানের সেঞ্চুরি ইনিংস। ১৬০ বলে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। এর আগে ১৪৯ রানে এগিয়ে ৭ উইকেটে ৩৭০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে রাজশাহী। ৩ উইকেটে ২৭৯ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল তারা। ৮২ রানে অপরাজিত থাকা জুনায়েদ আউট হন ৮৯ রানে। ১৪৩ রানের ইনিংস খেলা রাজশাহী ওপেনার মিজানুর রহমান হয়ছেন ম্যাচসেরা।
শেষ দিনে সবচেয়ে বেশি রোমাঞ্চের আভাস দিচ্ছিল রাজশাহীতে অনুষ্ঠেয় খুলনা বিভাগ ও রংপুর বিভাগের মধ্যকার ম্যাচটি। এজন্য অবশ্য রংপুরের বোলারদের চমক দেখাতে হতো। কিন্তু তা হয়নি, সাথে বৃষ্টি ও মেহেদী হাসানের দৃড় ব্যাটিংয়ে ম্যাচ গড়ায় ড্রয়ের দিকে। প্রথম ইনিংসে রংপুরের ৩১৭ রানের জবাবে ৯৯ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা খুলনা দিন শুরু করে বিনা উইকেটে ২২ রান নিয়ে। বৃষ্টির কারণে এদিন খেলা হয় ৩৩ ওভার। এসময় কুলনার রান ছিল ১ উইকেটে ১৪১। ফলে ড্রয়েই নিষ্পত্তি হয় ম্যাচের ভাগ্য। মেহেদী অপরাজিত ছিলেন ৮৮ রানে। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো জাহিদ জাভেদ হন ম্যাচসেরা।
খুলনায় ঢাকা বিভাগ ও বরিশাল বিভাগের মধ্যকার প্রথম স্তরের অন্য ম্যাচে শেষ দিনে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। প্রথম ইনিংসে ২৫০ রান তুলেছিল ঢাকা, রংপুর করে ২৯৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১১০ রান করে ঢাকা।
চার রাউন্ড শেষে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন খুলনা। রংপুর ও ঢাকা বিভাগের পয়েন্ট সমান ৮ করে, বরিশালের সংগ্রহ ৬।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট-বিভাগ-রাজশাহী বিভাগ
সিলেট : ২২১ ও ৬৩ ওভারে ১৫১/২ (ইমতিয়াজ ১০৮, আনোয়ার ৩৬*; ফরহাদ রেজা ১/৪৪, সাকলাইন ১/৪৪)।
রাজশাহী ১ম ইনিংস : ৭৭ ওভারে ৩৭০/৭ (ডি.) (জুনায়েদ ৮৯, ফরহাদ ৪১, মাইশুকুর ২৮; আবু জায়েদ ৪/৮০, ইমরান ৩/১০১)।
ফল : ম্যাচ ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ : মিজানুর রহমান (রাজশাহী)।
খুলনা বিভাগ-রংপুর বিভাগ
খুলনা : ২১৮ ও ৪৩ ওভারে ১৪১/১ (আগের দিন ২২/০) (রবি ২৯, মেহেদি ৮৮*, অমিত ১৭*; তানবীর ১/১১)।
রংপুর ১ম ইনিংস : ৩১৭/৯ (ডি.)
ফল : ম্যাচ ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ : জাহিদ জাভেদ (রংপুর)।
ঢাকা মেট্রো-চট্টগুাম বিভাগ
ঢাকা মেট্রো : ৩৬৯/৯ (ডি.) ও ২১ ওভারে ১৬৫/৩ (ডি.)(শামসুর ১০২*; রানা ১/৪৮, রনি ১/৩২, বেলাল ১/২২)।
চট্টগ্রাম : ৯০.৫ ওভারে ২৬১ (আগের দিন ২১৬/৮) (ওয়াহিদুল ৫৮; শহিদ ২/৬৯, শরিফ উল্লাহ ২/৩৩, আশরাফুল ৩/৬৫, সৈকত ১/২৪, নিহাদ ২/৫৬) ও ৪৯ ওভারে ৯৭/৬ (লক্ষ্য ২৭৪) (সাদিকুর ৩৩, শুক্কুর ২১*; শরিফ উল্লাহ ১/১৯, সৈকত ২/২৫, নিহাদ ২/১১, আশরাফুল ১/৬)।
ফল : ম্যাচ ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ : মোহাম্মদ আশরাফুল (ঢাকা মেট্রো)।
ঢাকা বিভাগ ও বরিশাল বিভাগের মধ্যকার ম্যাচে শেষ দিনে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।