পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান বিচারপতির বিদেশ যাবার বিষয়টি গতকাল সারাদেশে ছিল ‘টক অব দ্যা টাউন’। বিকেল থেকে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ‘বিদেশে চলে যাচ্ছেন’ এমন গুঞ্জন সর্বমহলে শোনা যাচ্ছিল। বিশেষ করে এ বিষয়ে মিডিয়াকর্মীদের বেশ আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। বিকেল থেকে মিডিয়াকর্মীরা প্রধান বিচারপতির হেয়ার রোডের বাসভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরাও প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন। অনেক অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রচার করা হয় যে, রাতেই অস্ট্রেলিয়া চলে যাচ্ছেন প্রধান বিচারপতি। কয়েকটি চ্যানেলের স্ক্রলেও এমন শিরোনাম লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও অনেক অনলাইন পোর্টাল কখন কোন বিমানে প্রধান বিচারপতি দেশ ছাড়বেন বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে সে বিষয়টিও উল্লেখ করে। কিন্তু সকল গুঞ্জন ও জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তিনি গতরাতে বিদেশ যাননি।
প্রধান বিচারপতি বর্তমানে এক মাসের ছুটিতে রয়েছেন। গত শনিবার তিনি ও তার স্ত্রী সুষমা সিনহা তিন বছরের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পান।
এদিকে রাত আটটা ২০ মিনিটে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা জড়ো হন। গত ৫ অক্টোবর গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত ভিসা আবেদন কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে পাঁচ বছরের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় ভিসার জন্য আবেদন করেন প্রধান বিচারপতি ও তার স্ত্রী। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবার পর ওই দিনই পারিবারিক ভ্রমণের জন্য ভিসা দেওয়া হয়। এ ভিসার মেয়াদ ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। অস্ট্রেলিয়ায় প্রধান বিচারপতির বড় মেয়ে সূচনা সিনহা বাস করছেন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রধান বিচারপতি সরকারি বাসভবনে যান সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ। সন্ধ্যা ৭টা ৩৮ মিনিটে তিনি প্রধান বিচারপতির বাসায় যাওয়ার পর প্রায় পৌনে একঘণ্টা পর রাত ৮টা ২৫ মিনিটে বেরিয়ে যান। রোববার দুপুর দেড়টায় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তার বাসভবনে দেখা করেন শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডা. সালেহ। এর আগে সকাল সোয়া ৭টায় প্রধান বিচারপতি গিয়েছিলেন মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে। অসুস্থতাজনিত কারণে প্রধান বিচারপতি বর্তমানে ছুটিতে আছেন বলে এর আগে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। গত ২ অক্টোবর এক মাসের ছুটি চেয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করেন প্রধান বিচারপতি। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতি ক্যান্সারে আক্রান্ত।
প্রধান বিচারপতিকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে এমন অভিযোগও তোলা হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। তবে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন সরকারি দলের নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।