Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দক্ষ জনবলে রেমিট্যান্স বাড়বে ১০ গুণ -বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী

প্রশিক্ষণ ও গবেষণায় বিনিয়োগ করমুক্ত রাখার দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রমে বিনিয়োগকে করমুক্ত সুবিধা প্রদানের দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। গতকাল শনিবার মতিঝিল ঢাকা চেম্বারের অডিটরিয়ামে দব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে ‘দেশীয় ব্যবস্থাপকদের দক্ষতা বৃদ্ধি’ বিষয়ক সেমিনারে এ দাবি করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল বিদেশে পাঠাতে পারলে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) আহরণ বর্তমানের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বাড়বে। নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের জনশক্তিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবলে রূপান্তরিত করতে পারলে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ সম্ভব হবে। বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বাংলাদেশি বিদেশে কাজ করছে, যারা প্রতি বছর প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল বিদেশে প্রেরণ করা সম্ভব হলে বর্তমানের প্রায় ১০ গুণ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ বছর ৭ লাখ ৮৯ হাজার লোক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে ১০ লাখ লোক প্রেরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহŸান জানান মন্ত্রী।
সুবিধা প্রদানের আহŸান জানিয়ে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, একটি উন্নয়নশীল দেশের প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন, ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি সর্বোপরি আর্থিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে পেশাগত, ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ লেবার ফোর্স সার্ভে ২০১৫-১৬-এর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্যে ১ দশমিক ৮শতাংশ ম্যানেজার, ৩ দশমিক ৮শতাংশ প্রফেশনালস এবং ১ দশমিক ৯শতাংশ প্রযুক্তিবিদ রয়েছেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, দক্ষ শক্তির অভাবে বাংলাদেশ কাঙ্খিত মাত্রায় বৈদেশিক আয় অর্জনে ব্যাহত হচ্ছে। দক্ষশক্তি তৈরির লক্ষ্যে আমাদের শিক্ষা ও পাঠ্যপুস্তকের পাঠ্যসূচির সংশোধন করা আবশ্যক, যার মাধ্যমে আমরা শিল্প ও সেবা খাতের জন্য উপযোগী দক্ষ জনবল তৈরি করতে পারি। তিনি দক্ষ জনবল তৈরিতে দেশের বেসরকারিখাতের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রমে বিনিয়োগকে করমুক্ত সুবিধা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। আলোচকরা বলেন, আমাদের শিল্পখাতে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে এবং শিল্পখাতসমূহে ব্যবসায়িক যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি এবং দর কষাকষিতে দক্ষ ব্যবস্থাপকের প্রয়োজনীয়তা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বক্তারা বলেন, আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে আরও নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষা কার্যক্রমের উপর গুরুত্ব প্রদান করা প্রয়োজন। আলোচকরা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমের মূলধারার সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রস্তাব দেন। তাঁরা আরও বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে আমাদের শিল্প-করখানায় নিয়োজিত মধ্যম সারির ব্যবস্থাপকদের দক্ষতা উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (টেকনিক্যাল অ্যান্ড মাদরাসা ডিভিশন) অশোক কুমার বিশ্বাস অংশগ্রহণ করেন। ন্যাশনাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের (এনএসডিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম খোরশেদ আলম সেনিমারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেমিট্যান্স

১১ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ