পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যে অর্থনীতি নিয়ে যখন নানান হতাশার তথ্য, তখন স্বস্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের প্রবাহ। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিটেন্সের বিস্ময়কর উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। চলতি জুলায়ের প্রবণতা অব্যহত থাকলে এই অর্থবছরে তৈরি হবে নতুন রেকর্ড। এতে অনেকটাই চাপমুক্ত হবে দেশ। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল সোমবার রেমিটেন্সের সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ১ জুলাই শুরু হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ২৪ দিনে ১৭৩ কোটি ৯০ লাখ (১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বর্তমান বিনিময় হার (প্রতি ডলার ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা) হিসাবে টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১৬ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা।
এই অর্থবছরে প্রতিদিন গড়ে ৭ কোটি ২৪ লাখ ৫৮ হাজার কোটি ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে মন্দা দেখা দেয়। পুরো অর্থবছরে ২ হাজার ১০৩ কোটি (২১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন) ডলার এসেছিল; গড়ে প্রতিদিন ৫ কোটি ৭৬ লাখ ১৬ হাজার কোটির কিছু বেশি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
এসব হিসাব থেকে দেখা যাচ্ছে, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে রেমিটেন্সে রয়েছে ঊর্ধ্বগতি। এই প্রবণতা আগামীতেও অব্যাহত থাকলে তৈরি হবে নতুন রেকর্ড। সাধারণত দুই ঈদের আগে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বাড়ে; ঈদের পর কমে যায়। তবে এবার কোরবানির ঈদের আগে যে গতিতে রেমিটেন্স এসেছে, সেই ধারা ঈদের পরেও অব্যাহত আছে। ঈদের পরেও কেনো রেমিটেন্স বাড়ছে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক মাসে ডলারের দর বেশ খানিকটা বেড়েছে। প্রণোদনার পরিমাণ দুই শতাংশ থেকে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। এ সব কারণে প্রবাসীরা এখন ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন। সে কারণেই বাড়ছে রেমিটেন্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।