পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্থানীয়দের মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ-উত্তেজনা
শামসুল হক শারেক, তুমব্রæ সীমান্ত থেকে ফিরে : মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিতাড়নের পর এখন মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সাথে গায়ে পড়ে যুদ্ধে জড়ানোর মত আচরণ শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক রীতি লঙ্ঘন করে বংলাদেশের সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সীমান্তে তারা বাংকার স্থাপন করে যুদ্ধের উস্কানি দিচ্ছে এমন খবর নিশ্চিত হওয়াগেছে বিভিন্ন সূত্র থেকে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে দেশের বর্ডার বাহিনী বা সীমান্ত রক্ষীবাহিনী। সেনাবাহিনী মোতায়েন আন্তর্জাতিক রীতির লঙ্ঘন। ইতোপূর্বে বাংলাদেশের আকাশ সীমা লঙ্ঘন কওে মিয়ানমার সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার ও ড্রোন ওড়ানো, স্থল মাইন স্থাপন এবং কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের মধ্য দিয়ে একাধিকবার সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করেছে।
আন্তর্জাতিক এই রীতি লঙ্ঘন করে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সীমান্তে সেনা বাহিনী মোতায়েন করায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, মিয়ানমার কি গায়ে পড়ে বন্ধু প্রতীম বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধ বাধাতে চায়? এতে করে সীমান্তে উত্তেজনার পাশাপাশি অধিবাসীদের মাঝে ভীতিও কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ অবস্থায় সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি নজরদারি বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি।
বান্দরবান পার্বত্য জেলার তুমব্রæ সীমান্ত ঘেঁষে গত তিনদিন ধরে অবস্থান করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি দল। সকাল-দুপুর এবং সন্ধ্যায় দিনের তিনভাগে তাদের দায়িত্ব পরিবর্তন কওে তাদেও টহল অব্যাহত রেখেছে। তিনটি ট্রাকে করে ওই পয়েন্টে বর্ডার গার্ড পুলিশের পাশাপাশি আসা-যাওয়া করছে মিয়ানমার সেনাবহিনীর সদস্যরা। বর্ডার গার্ড পুলিশ সদস্যরা তারকাঁটা স্থাপন করলেও সেনাসদস্যরা দূরে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
খবর নিয়ে জানাগেছে, শুধু তুমব্রæ সীমান্ত নয়, বাংলাদেশের চাকমা পাড়া এবং বাইশারী সীমান্ত এলাকায়ও অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তবে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিতে তারা দিনের বেশিরভাগ সময় ঘনজঙ্গলে অবস্থান নিয়ে থাকে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তুমব্রæ-চাকমা পাড়া এবং বাইশারী এলাকার জিরো পয়েন্ট বা নো ম্যান্স ল্যান্ডে কমপক্ষে ১৫ হাজার রোহিঙ্গার অবস্থান রয়েছে।
তবে সীমান্ত পরিদর্শনে আসা বাংলাদেশ পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা মতামত হচ্ছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ ধরণের উস্কানিমূলক কোন কাজে বাংলাদেশ জবাব দেবে না। পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব জনমত সহ কূটনৈতিক ভাবে এই সমস্যার সমাধান চায়। তাই মিয়ানমারের উস্কানী বা ফাঁদে বাংলাদেশ পা দেবেনা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদেও মতে সীমান্তে সেনাবাহিনী মোতায়েন আন্তর্জাতিক রীতির লঙ্ঘন। সীমান্তে নো ম্যান্স ল্যান্ডে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে তা আন্তর্জাতিক রীতির সরাসরি লঙ্ঘন।
এদিকে সীমান্তে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি নজরদারি বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। লে. কর্ণেল মঞ্জুরুল হাসান খান বলেন, আমরা একে হুমকি মনে করছি না। অন্যদিকে আমাদের আর যা যা করা প্রয়োজন তা করছি।
এর আগে মিয়ানমার সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার ও ড্রোন ওড়ানো, স্থল মাইন স্থাপন এবং কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের মধ্য দিয়ে একাধিকবার সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করেছে। প্রতিটি ঘটনার নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি এবং বাংলাদেশ সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।