মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সেনাবাহিনীর দমন অভিযান থামাতে মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ অথবা সাহায্য বন্ধের মত দাবি এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন আইনপ্রণেতা ও কর্মকর্তার কাছ থেকে। তারা কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি প্যাট্রিক মার্ফি বলেছেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে না যায়। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিতে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে শুনানিতে এ ধরনের মতামত উঠে আসে। রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের মুখে গত ২৫ আগস্ট থেকে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে যায়। তারা বলছেন, সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ মারছে। রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে, জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। মিয়ানমারের নেত্রী সু চি সেনাবাহিনীর এই অভিযানকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই হিসেবে বর্ণনা করলেও জাতিসংঘ একে চিহ্নিত করেছে জাতিগত নির্মূল অভিযান হিসেবে। রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে সেখানে যেতে দিচ্ছে না মিয়ানমার সরকার। এমনকি সেখানে আইসিআরসি ছাড়া অন্য কোনো সংস্থাকে ত্রাণ দিতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। মিয়ানমার সরকারের এই ভূমিকার কারণে নোবেল বিজয়ী সু চির সমালোচনায় মুখর হয়েছে পশ্চিমা মিত্ররাও, যাদের কাছে এক সময় তিনি ছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির গণতন্ত্রের প্রতীক। মার্কিন আইন প্রণেতাদের অনেকেই মিয়ানমারের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহŸান জানিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান পার্টির কংগ্রেস সদস্য এড রয়েস বলেন, সর্বশেষ বিবৃতিতেও সু চি জাতিগত নির্মূল অভিযানের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন, যা সঠিক নয়। যারা ওই সহিংসতার জন্য দায়ী, তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। সু চি এবং তার দেশের সেনাবাহিনীকে এই চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। এটা অবশ্যই জাতিগত নির্মূল অভিযান। মিয়ানমার ও দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি যারা তুলেছেন, পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিতে ডেমোক্র্যাটদের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি এলিয়ট অ্যাঙ্গেল তাদের একজন। আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের রাখাইনে যাওয়ার সুযোগ দিতে সু চির সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন তারা। রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য স্কট পেরি বলেন, আমরা এখানে স্যুট পরে বসে আছি, আর ওখানে মানুষ খুন হচ্ছে, তাদের নিজের দেশ থেকে উৎখাত করা হচ্ছে। কাউকে না কাউকে এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার পেছনে কারা আছে- তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বলে জানান মার্ফি। জাতিসংঘের তদন্তকারীদের রাখাইনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আগ পর্যন্ত মিয়ানমার সরকারকে মার্কিন সাহায্য বন্ধ রাখলে ফল পাওয়া যাবে কি না- তা ভেবে দেখার আহŸান জানান পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির এশিয়া বিষয়ক উপ কমিটির প্রধান কংগ্রেস সদস্য টেড ইয়োহো। সিএনএন, রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।