Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যাদের নোবেল জয় বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল

| প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : নোবেল পুরস্কারের সময় সবচেয়ে জল্পনা-কল্পনা চলে শান্তি পুরস্কার নিয়ে। আবার এই পুরস্কারই সবচেয়ে বেশি বিতর্ক ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করেন, রাজনৈতিক অনেক কারণ এই পুরস্কারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ফলে অনেক নোবেল জয়ীকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। এ পর্যন্ত যাদের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়াতে বিতর্কের জন্ম হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- ফন অসিয়েতস্কি (১৯৩৫)। নোবেল শান্তি পুরস্কারের যাত্রা শুরু ১৯৩৫ সালে। ওই বছর জার্মানির শান্তিবাদী লেখক কার্ল ফন অসিয়েতস্কি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলে সমালোচনার ঝড় উঠে। কারণ তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতারণা ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ ছিলো। ১৯৭৩ সালে হেনরি কিসিঞ্জারের নোবেল পুরস্কার নিয়ে ছিলো তুমুল বিতর্ক। তাকে যুদ্ধবাজ কূটনীতিক বলা হতো। কম্বোডিয়ায় বোমা বর্ষণ ও দক্ষিণ আমেরিকায় কনডর অপারেশনের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। তাকে নোবেল দেওয়ার প্রতিবাদে নোবেল কমিটির দুজন সদস্য পদত্যাগ করেছিলেন। ১৯৮৯ সালে তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার শান্তি পুরস্কার নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। অনেকে তাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার কারণ হিসেবে বিশ্বের কাছে তাকে সুপরিচিত করার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করেন। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আলগোর নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। ডেমোক্র্যাট এই নেতার প্রাসাদসম বাড়ি ও বিলাস জীবনের সঙ্গে তার বক্তব্যের মিল ছিল না। নিজে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথা বললেও তার বাড়িতে অন্যান্য বাড়ির তুলনায় ২০ গুণ বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হতো। পরিবেশ আন্দোলনের কথা বললেও তার জীবন-যাপনে সেই আভাস মেলেনি। ব্যক্তিগত জেটপ্লেন ছিল তার। অথচ কার্বন নিঃসরণ, সবুজ পৃথিবীর কথা বলেই আয় করেছেন। পরিবেশ ও জলবায়ু এজেন্ডাকে পুঁজি করে কামিয়েছেন বিলিয়ন ডলার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় নোবেল শান্তি পুরস্কার পান বারাক ওবামা। তখন সমালোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কারণ এক বছরে বিশ্বশান্তির জন্য কাজ করার সুযোগই তৈরি হয়নি তার। নোবেল কমিটি বলছে- দুর্নীতি দমনে কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন, অস্ত্র ও যুদ্ধ নিরসনকল্পে গৃহীত পদক্ষেপের জন্য নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। ২০১৫ সালে প্রকাশিত একটি আত্মজীবনীতে নোবেল কমিটির সাবেক সদস্য গেয়ার লান্ডেস্টাড এই ব্যাপারে কিছু কথা বলেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, তাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল যেন আন্তর্জাতিকভাবে তার প্রভাব শক্তিশালী হয় ও তার ক্ষমতায় ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে এতদিন তেমন বিতর্ক ছিল না। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে তার নির্ভীক অবস্থান ও আন্দোলনের কৃতিত্বস্বরূপ তাকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। তবে বর্তমানে তার নেতৃত্বাধীন মিয়ানমারে দেশটির সেনাবাহিনীর রাখাইনে সামরিক অভিযানে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন ও জাতিগত নিধন নিয়ে চুপ থাকায় প্রশ্ন উঠছে। ওয়েবসাইট।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ