Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মিষ্টি খাওয়ার নামে দেড় হাজার টাকা করে নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বেতাগী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা : বরগুনার বেতাগীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষক যোগদান উপলক্ষে মিষ্টি খাওয়ার অযুহাতে জনপ্রতি দেড় হাজার করে টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ খোদ উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে। অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক শিক্ষা অফিসারের বরাত দিয়ে এ টাকা আদায় করছে ক্ষুব্ধ ভুক্তভোগীরা এমনই অভিযোগ করেন। জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন (পিইডিপি) প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরে এ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাক-প্রাথমিক নবসৃষ্ট কোটায় ৪৪ জন নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। গত ১৭ জানুয়ারি থেকে শিক্ষকরা যোগদান করতে গেলে তাদের কাছে মিষ্টি খাওয়ার অজুহাত দিয়ে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. লিটন হাওলাদার টাকা দাবি করে। শিক্ষকরা স্বেচ্ছায় জনপ্রতি ৫শ’ টাকা করে দেয়ার চেষ্টা করলে তিনি যোগদান নিতে গড়িমসি করে জনপ্রতি দেড় হাজার টাকা দাবি করে। এক পর্যায় শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে চাহিদা মতো টাকা প্রদানের পর তাদের যোগদানপত্র নেন। শিক্ষকদের সাথে এ নিয়ে অফিস সহকারির  অফিস কক্ষে বাক-বিতা-ার সৃষ্টি হয়। সিংহভাগ যোগদানকারী শিক্ষকদের নিকট থেকে এভাবে টাকা হাতিয়ে নেন বলে নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক একাধিক শিক্ষকরা অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আক্তারুজ্জামান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এখানে শিক্ষক যোগদানে কোন প্রকার অর্থ লেনদেন হয়নি। আমি ও অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক এক জায়গায়ই বসি। তাই উৎকোচ গ্রহণের কোন প্রশ্নই আসে না। অফিস সহকারি কাম মুদ্রাক্ষরিক মো. লিটন হাওলাদার একই সুরে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিষ্টি খাওয়ার নামে দেড় হাজার টাকা করে নেয়ার অভিযোগ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ