Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মরিচের ঝাঁজ বাড়ছেই

| প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
কাঁচা মরিচের ঝাজ বাড়ছেই। চালের দাম নিয়ে অস্বস্তি না কাটতেই এবার ক্রমাগত বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচের কেজিপ্রতি মূল্য এখন ২৫০-২৬০ টাকা। বিক্রেতারা বন্যা ও আমদানির দোহাই দিলেও দিশেহারা ক্রেতা।
একই সঙ্গে গুজব ছড়িয়ে বাড়তি দাম নেয়ার অভিযোগও তাদের। ব্যবসায়ীরা বলেন, আশুরা ও দুর্গোৎসব ঘিরে টানা ছুটিতে আমদানির মরিচ ছিল না। তাছাড়া গত তিনদিনের বর্ষণে সরবরাহে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যে পরিমাণ কাঁচা মরিচ এসেছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। সরবরাহে ঘাটতির কারণে কাঁচা মরিচের দামে এ পরিস্থিতি। এদিকে সরবরাহ সংকটের কথা বলা হলেও রাজধানীর বাজারগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ কাঁচা মরিচ দেখা গেছে। তবে দাম বেশি থাকায় মরিচের বেচাকেনা কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে মরিচের উৎপাদন কমেছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে ১ লাখ ৭৬ হাজার টন মরিচ উৎপাদন হয়েছে। বর্তমানে তা কমে এক লাখ টনের নিচে নেমে এসেছে। এ কারণে আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা। রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একশ’ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। অর্থাৎ এই হিসাবে এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম দাঁড়ায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। যেখানে গত সপ্তাহেও একশ’ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়।
রাজধানীর মতিঝিলে কাঁচা বাজার করতে আসা গৃহীনী আলেয়া বেগম বলেন, বাজারে কোনো কিছুরই দাম কম নেই। এখন কাঁচা মরিচের দিকে তো তাকানোই যায় না। কিন্তু বাসায় নানা রকমের রান্নায় কাঁচা মরিচ লাগেই। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার সাহেবের তো আয় বাড়েনি। জিনিস পত্রের দাম বাড়ছে। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও কিছু করার নাই। ওই বাজারের কাঁচা সবজি বিক্রেতা হারুণ জানান, পাইকারি বাজারে বাড়লে তার প্রভাব খুচরা বাজারেও পরে। বর্তমানে দ্বিগুণের বেশি দাম দিয়ে পাইকারি বাজার থেকে মরিচ কিনে আনতে হচ্ছে। গত সপ্তাহে যে সবজি বাজারে ছিল সহজলভ্য, এখন তার সরবরাহ অনেকটাই কমে গেছে।
বাজারের অপর বিক্রেতা হাবিব বলেন, কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কমেছে। এখন ২৫০ গ্রাম মরিচ ৬০ টাকার (কেজি ২৪০ টাকা) নিচে বিক্রি করলে লোকসান দিতে হবে। পাইকারি বাজার থেকে এক পাল্লা (৫ কেজি) মরিচ ১ হাজার ১০০ টাকায় কিনেছি। এরপর যাতায়াত ভাড়া আছে। কেনা দামই পড়েছে কেজি ২২০ টাকা। অন্যান্য খরচ যোগ করলে এর চেয়ে কম দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়।
রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর পাইকারি আড়তে ৫ কেজি কাঁচা মরিচ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে গতকাল থেকে কিছুটা কমে ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান এক ব্যবসায়ী।
আড়তদার করিম আলী বলেন, বন্যার পরে ভারত থেকে আমদানি করা মরিচ বেশি বিক্রি হয়েছে। পূজার ছুটিতে গত এক সপ্তাহ ধরে মরিচ আসেনি। এখনও বাজারে তেমন মরিচ নেই। অন্যদিকে দেশে বন্যার কারণে মরিচ উৎপাদন আগেই কমেছে। ফলে বাজারে দেশি মরিচের সরবরাহ কম। এ কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। তবে আমদানি করা মরিচের সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে দাম আবারও কমবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মরিচ

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ