Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মরিচের ঝাঁজে বাজার গরম

কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

রাজধানীর বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। বিপরীতে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। প্রায় চারগুণ বেড়ে কাঁচা মরিচের কেজি দুইশ’ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচের দাম এক লাফে বেড়ে হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। ব্যবসায়ীরা এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন, গত সপ্তাহে এক পোয়া কাঁচা মরিচ ছিল ১৫ টাকা। কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, বৃষ্টিতে মরিচের ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে। অনেকের মরিচ গাছ পানিতে পচে গেছে। মরিচের দাম বাড়ার এটাই একমাত্র কারণ। বৃষ্টির এ ধারা অব্যাহত থাকলে সামনে মরিচের দাম আরও বাড়বে বলে জানান তিনি। সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের মতো এখনো সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর ও টমেটো। মানভেদে গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১১০ টাকা। আর পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।

এছাড়াও ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলার কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। আগের মতো ঢেঁড়সের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। বরবটির কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলেন, কোরবানির ঈদের পর সবজির চাহিদা খুব কম ছিল। কয়েক দিন ধরে সবজির চাহিদা বেড়েছে। চাহিদা বাড়লেও সবজির দাম নতুন করে বাড়েনি। সব ধরনের সবজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সূত্র দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে ১৫ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগি ও লাল লেয়ার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের মতো লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা। এর সঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির গোশতের দাম। গরুর গোশত আগের মতোই ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। খাসির গোশতের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগির দাম কমার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, কোরবানির কারণে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা কমে গেছে। এছাড়াও লকডাউনের কারণে হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোর বিক্রি কমেছে। সবকিছু মিলে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। তারা আরো বলেন, বাসাবাড়ির তুলনায় হোটেল-রেস্টুরেন্টের জন্য ব্রয়লার মুরগি বেশি বিক্রি হয়। লকডাউনের কারণে হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলো মুরগি কেনার পরিমাণ অনেক কমিয়ে দিয়েছে। আবার বিয়ে বা অন্য কোনো অনুষ্ঠানও এখন হচ্ছে না। এসব কারণে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। লকডাউন উঠে গেলে হয়তো ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে যেতে পারে।

মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা। মৃগেলের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। পাবদা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা। পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মরিচের ঝাঁজ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ