Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইএমএফের আর্থিক সঙ্কটের আশঙ্কা

| প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


ইনকিলাব ডেস্ক : গৃহস্থালি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় মধ্যমেয়াদে আর্থিক সঙ্কট সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি। আইএমএফের গেøাবাল ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট অক্টোবর ২০১৭ অনুযায়ী, গৃহস্থালি ঋণ বেড়ে যাওয়ার সুবাদে স্বল্পমেয়াদে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও সামষ্টিক অর্থনীতি এবং আর্থিক স্থিতিশীলতায় মধ্যমেয়াদে ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বৈশ্বিক আর্থিক সঙ্কটের পর থেকে উন্নত ও বিকাশমান অর্থনীতিতে গৃহস্থালি ঋণ ক্রমে বাড়ছে। উদীয়মান বাজার অর্থনীতির গৃহস্থালি ঋণ-জিডিপির গড় অনুপাত ২০০৮ সালে ১৫ শতাংশে থাকলেও ২০১৬ সালে এসে তা ২১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে একই সময় উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোয় গড় অনুপাত ৫২ থেকে বেড়ে ৬৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গবেষণায় বলা হয়, যখন গৃহস্থালি ঋণ-জিডিপি অনুপাত বাড়ে, তখন দেশের অর্থনীতি খুব দ্রæতই এগিয়ে যায় এবং স্বল্পমেয়াদে বেকারত্ব কমে আসে অনেকখানি। তবে গৃহস্থালি ঋণ যেভাবে বাড়ছে, তাতে আগামী তিন-পাঁচ বছরে ব্যাংকগুলোর সঙ্কটের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। আইএমএফের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গৃহস্থালি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় বিকাশমান বাজার অর্থনীতির তুলনায় উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোয় মধ্যমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। আর যদি কোনো দেশের উন্মুক্ত মূলধনি হিসাব অনেক বেশি থাকে এবং নির্দিষ্ট বিনিময় হার ও তাদের আর্থিক ব্যবস্থা কম উন্নত হয়, তবে গৃহস্থালি ঋণ বেড়ে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব আরো বেশি জোরালো হবে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বর্ধিত গৃহস্থালি ঋণের নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে আনা সম্ভব হবে, যদি দেশগুলো তাদের আর্থিক নীতিমালা উন্নত করার পাশাপাশি বহিস্থ অর্থায়নের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনতে পারে। একই সঙ্গে নমনীয় বিনিময় হার এবং আয়বৈষম্য কমিয়ে আনতে হবে দেশগুলোকে। সিনহুয়া।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ