মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : নৃশংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের বিষয়ে দ্রæততার সঙ্গে সাড়া দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। একই সঙ্গে তাদের জন্য বাড়তি সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, তারা রোহিঙ্গাদের সহায়তায় দ্বিগুণ ডোনেশন দেবে। মিয়ানমারে রয়ে যাওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের রক্ষায় ব্রিটেন সম্ভাব্য সব কিছু করবে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অভিযান থেকে বিরত থাকার আহŸান জানানো সত্তে¡ও তারা তা আমলে নিচ্ছে না। এটা অসহনীয়। ব্রিটিশ সরকারের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এতে বলা হয়, শুধু গত এক মাসে মিয়ানমারে নৃশংসতার করণে ভয়াবহ সফরের মাধ্যমে কমপক্ষে ৫ লাখ শিশু, নারী ও পুরুষ মিয়ানমারে নিজের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে এসেছে। এরই মধ্যে নৃশংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষাকারী খাবার, পানি, আশ্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে তিন কোটি পাউন্ড দিয়েছে ব্রিটেন। গতকাল বুধবার বৃটেনের জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটি মিয়ানমার ছেড়ে পালানো এসব মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে আবেদন জানায়। এর মাধ্যমে এ সঙ্কটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ব্রিটেন। বৃটেনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল বলেছেন, মিয়ানমারে ভয়াবহ সহিংসতার কারণে যেভাবে ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা দেশ ছেড়েছেন তাতে আমি হতভম্ব। যারা এভাবে পালিয়ে এসেছেন তারা সঙ্গে করে কিছুই নিয়ে আসতে পারেননি। নিরাপত্তার জন্য তারা ভয়াবহ অবস্থার মোকাবিলা করলেও অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছেন। অনেকে হারিয়েছেন প্রিয়জনকে। যারা এখনও রাখাইনে অবস্থান করছেন তাদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিতে না দেয়ার অর্থ হলো তাদেরকে জীবন-মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া। বিরত থাকার জন্য আহŸান জানানোর পরও অভিযুক্ত সেনারা থামছেনা এটা অসহনীয়। শরণার্থীদের নিরাপদে ফেরা নিশ্চিত করার দাবির প্রতিও তারা সাড়া দিচ্ছে না। এই সঙ্কটে এই সময়ে এই ভয়াবহ ট্রাজেডির শিকার মানুষগুলোকে রক্ষা করতে আন্তর্জাতিকভাবে পদক্ষেপ নিতে এবং সম্ভাব্য সব সহযোগিতা করতে সবটুকুই করবে ব্রিটেন। জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটির আবেদনে জনগণ পাউন্ডের পর পাউন্ড জমা দেবেন এবং সেই র্থৈ আমরা বৃটিশ মানুষের সহায়তা দ্বিগুণ করবো। বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রিটিশ জনগণের ট্যাক্সের অর্থ থেকে এই মধ্যে এসব মানুষকে সহায়তায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ব্রিটিশ জনগণের দানকরা প্রতি ৫ পাউন্ড দিয়ে একটি রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য এক সপ্তাহের জন্য পরিষ্কার পানির ব্যবস্থা করা যাবে। ১০০ পাউন্ডে দু’টি পরিবারের জন্য এক মাসের খাদ্য নিশ্চিত করা যাবে। প্রতি ৩০ পাউন্ডে একটি পরিবারকে জরুরি ভিত্তিতে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যাবে। এতে আরো বলা হয়, এসব সহায়তায় ব্রিটেনের জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ১৩টি দাতব্য সংস্থাকে একত্রিত করেছে। তারা হলো একশন এইড, এইজ ইন্টারন্যাশনাল, বৃটিশ রেডক্রস, ক্যাফোড, কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, ক্রিশ্চিয়ান এইড, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড, ইসলামিক রিলিফ ওয়ার্ল্ডওয়াইড, অক্সফাম, প্লান ইন্টারন্যাশনাল ইউকে, সেভ দ্য চিলড্রেন, টিয়ারফান্ড অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড ভিশন। এসব সংস্থা দুর্ভোগে পড়া এসব রোহিঙ্গাকে সহায়তার জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।