Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মুসলমানের জন্য ধর্মহীন দেশ ও সমাজ কল্পনাও করা যায় না-সংবাদ সম্মেলনে বেফাক নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কিছু লোক সুযোগ মতো ইসলামকে আঘাত করতে পারলেই যেন তৃপ্তি পায়। নানা উপলক্ষে তারা বক্তব্য দেওয়ার সময় ইসলাম ও মুসলমানকে খোঁচা মেরে কথা বলে।
অনেক দায়িত্বশীলকেও এমন করতে দেখা যায়। যা দেশ ও জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ধর্মহীনতা নাস্তিক্যবাদ থেকে এ মনোভাবের জন্ম। কোন মুসলমান তার জীবনের কোন অংশেই ধর্ম থেকে দূরে সরতে পারে না। মুসলমানের রাষ্ট্র, শিক্ষা, অর্থনীতি, দেশ, সমাজ কোনটিই ধর্মহীন হতে পারে না। এর মধ্য দিয়েই দুনিয়ার সব জাতি, ধর্ম, মানবতা, মুসলমানের ন্যায়-নীতি, সম্প্রীতি ও ভালোবাসা পেয়ে থাকে। যার প্রত্যক্ষ প্রমাণ বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার প্রতি দেশবাসীর নজিরবিহীন মানবিকতা। আলেমসমাজ রোহিঙ্গাদের জন্য যা করেছেন তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বেফাক সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতেও ওলামায়ে কেরাম ও দীনদার মানুষ ত্রাণ সহায়তায় অগ্রণী ভ‚মিকা রাখবেন এটা আমাদের প্রত্যাশা। গত সোমবার রাজধানীর বেফাক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বেফাক (কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড) নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
আল্লামা আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, মুফতি মো. ওয়াক্কাস, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস (ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বেফাক), মুফতি নূরুল আমিন, মাওলানা ছফিউল্লাহ, মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী, মুফতি আবূ ইউসুফ, মুফতি এনামুল হক প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, বেফাকের বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত চাকুরীচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্যে কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে বেফাকের বক্তব্য নি¤œরূপ, দীর্ঘদিন থেকেই কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাময়িক কর্মী বেফাকের বিধি-বিধান ও আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আসছিল। এ অভিযোগের কারণে বেফাক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। উক্ত তদন্ত কমিটি সাক্ষ্য প্রমাণ এবং মৌখিক স্বীকারোক্তি গ্রহণসহ অন্যান্য পন্থায় যাচাই-বাছাই করে এগারো জনের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে। বেফাক কমিটি অভিযুক্ত ব্যক্তিবর্গকে পেশকৃত অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে অভিযুক্ত ও দোষী বলে স্বীকার করে এবং অধিকাংশই চাকুরী থেকে অব্যাহতি নেয়। কমিটি আলাপ আলোচনা করে সর্ব সম্মতিক্রমে তাদের অব্যাহতিপত্র গ্রহণ করে এবং বাকি অভিযুক্তদেরকে কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে বেফাকের স্বার্থে অব্যাহতি দেয়। উল্লেখ্য, মাওলানা যুবায়ের আহমদ বেফাকের আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন। তাছাড়া, তার নিকট বেফাক বর্তমানে প্রায় আড়াই লক্ষটাকা কূপণ বাবদ পাওনা। তিনি এর সুষ্ঠু হিসাব দিতে পারেননি। মরহুম মহাসচিবের আমলে দুর্নীতি ও নিয়ম শৃঙ্খলা বহির্ভুত আচরণের দরুন অহিদুজ্জামানকে কমিটি অব্যাহতি দিয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে সাময়িক কাজ করার সুযোগ দেয়া হলে তার থেকে আবারও চুরিসহ অন্য কর্মীদের সাথে অসদ আচরণ প্রকাশ পাওয়ায় তাকে পুনরায় অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়াও অতীতের আলোচিত সকল অনিয়ম, দুর্নীতি ও অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যথারীতি তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে সিদ্ধান্তের সবগুলো সভা বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা আশরাফ আলী সাহেবের সভাপতিত্বে হয়েছে। তিনি উপস্থিত সকল সদস্যের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সবগুলো সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। অতঃপর বেফাকের সভাপতি আল্লামা আহমদ শফীকে সিদ্ধান্তসমূহ জানানো হয়েছে। তিনি এতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আরো যারা যারা অভিযুক্ত রয়েছে তাদের ব্যপারেও নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হোক। অতএব, কোন প্রচারণায় প্রভাবিত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বেফাকের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুসলমান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ