নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথম টেস্টে বাংলাদেশেকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা। একের পর এক শট বলে নাস্তানুবুধ করে ছেড়েছেন মুশফিক-তামিমদের। আরো ছোট করে বললে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন দীর্ঘ্যদেহী পেসার মরনে মর্কেল। বাংলাদেশের জন্য সুসবাদ হলো, দ্বিতীয় টেস্টে তাদের মর্কেলকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে না। চোটের কারণে ৬ সপ্তাহ মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন মর্কেল। পরের টেস্টে মর্কেলের জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছে ২৮ বছর বয়সী আরেক পেসার ডেন প্যাটারসনকে।
চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই বোলিংয়ে ঝড় তোলেন মর্কেল। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই বোল্ড করেন টেস্টে বাংলাদেশের সেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে। এক বল পরেই এলবিডবিøয়ের ফাঁদে ফেলে ফেরান প্রথম ইনিংসে টাইগারদের সর্বোচ্চ রান স্কোরার মুমিনুল হককে। দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানেই আউট হোন মুমিনুল। শুরুতেই এই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ।
আতঙ্ক ছড়ানো এই পেসার পেতে পারতেন আরো উইকেট। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকেও বোল্ড করেন। কিন্তু দুর্ভাগা মরকেল, বলটি ছিল নো। দুর্ভাগ্য আরো বাড়ে নিজের ষষ্ঠ ওভারে। এসময় সাইড স্ট্রেইনের চোটের কারণে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। মরকেলের অসমাপ্ত ওভার করেন অলিভিয়ের। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল, ম্যাচের পঞ্চম দিন বল করতে পারবেন না মরকেল। পরবর্তিতে সেই ধারণা সত্যি হয়। শেষ দিনে মাঠেই নামতে পারেননি তিনি।
মর্কেলের ইনজুরির ব্যাপারে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যানেজার ডা. মোহাম্মেদ মুসাজি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের চতুর্থ দিন বাঁ-সাইড স্ট্রেইন ইনজুরিতে পড়েন মরকেল। যে কারণে তাৎক্ষণিকভাবে তার বোলিং স্পেল বন্ধ করে দেয়া হয়। পঞ্চম দিন সকালে মরকেলের স্ক্যান করা হয় এবং রিপোর্টে ইনজুরি লক্ষ্য করা যায়। তাই সিরিজের বাকী সময়ে আর মাঠে নামতে পারবেন না মরকেল। তার সুস্থ হতে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ সময় লাগবে এবং আগামী নভেম্বরে টি-২০ গেøাবালে ফেরার আশা করছেন।’
সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৯ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মর্কেল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ দশমিক ২ ওভার বোলিং করে ১৯ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। ঐ ওভার শেষ না করেই ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ত্যাগ করেন।
মর্কেলের জায়গায় সুযোগ পাওয়া প্যাটারসন দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে কেপ কোবরাসের হয়ে খেলে থাকেন। ৮৫ প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ২৮৫টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। এরমধ্যে দশবার ৫ বা ততোধিক উইকেট শিকারের নজিরও আছে তার। আর জাতীয় দলের হয়ে ৪টি টুয়েন্টি টুয়েন্টি ম্যাচে তার শিকার ৫ উইকেট।
এর আগে চোটের কারণে দলের সেরা দুই পেসার ডেল স্টেইন ও ভারনন ফিল্যান্ডারকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পেস অল রাউন্ডার ক্রিস মরিসও একই ভাগ্য বরণ করে ছিটকে যান দল থেকে। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ৬ অক্টোবর (শুক্রবার) বøুমফন্টেইনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।