Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফাতাহ-হামাস দ্ব›দ্ব নিরসনে বিরল উদ্যোগ

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফাতাহ ও হামাসের দ্ব›দ্ব নিরসন প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় এবার গাজা উপত্যকায় গিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লাহ। গতকাল মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে এই উদ্যোগকে বিরল আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ১০ বছর আগে দুই গ্রæপের মাঝে শুরু হওয়া দ্ব›দ্ব নিরসনে স¤প্রতি তৎপর হয়েছে দুই রাজনৈতিক দল। সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ঐক্যবদ্ধ ফিলিস্তিন গড়ে তুলতে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ অবসানের ঘোষণা দেয় গাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠন হামাস। একই মাসের শেষ সপ্তাহে বিরোধ নিষ্পত্তির অংশ হিসেবে হামাস তাদের গাজা-প্রশাসন বিলুপ্ত করে সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেয়। তারা অঙ্গীকার করে, ঐক্যের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে তারা গাজার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লাহর নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে হস্তান্তর করবে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীর গাজা সফর। দুই রাজনৈতিক দলের ঐক্যের প্রচেষ্টা নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গাজাবাসীর দুর্দশা দূর করতেই এমন বিকল্প চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। গত সোমবার ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী হামাসের এক পুলিশ এবং শত শত ফিলিস্তিনি নাগরিক ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানায়। ২০১৪ সালে ঐক্যের সরকার প্রতিষ্ঠা হলেও হামাস ও ফাতাহর মধ্যে দায়িত্ব নিয়ে বিরোধ থাকায় এ সরকার ২০ লাখ বাসিন্দার গাজায় কোনো কাজ করতে পারেনি। গত বছরই সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস গাজার শাসনভার নিজেদের হাতে নেয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাশিয়ার মস্কোতে আলোচনার পর ঐকমত্যের সরকার গড়তে একমত হয় ফিলিস্তিনের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল ফাতাহ ও হামাস। সোমবার রামাল্লায় মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে হামদাল্লাহ বলেছেন, সংহতি প্রচেষ্টায় ফাতাহর ভূমিকাকে সমর্থন করতে এবং বিভক্তির পৃষ্ঠা উল্টে ফেলতে সরকার বদ্ধপরিকর। বিবিসি।



 

Show all comments
  • এম এ কাদের ৪ অক্টোবর, ২০১৭, ১১:১৬ এএম says : 0
    আজ সারা বিশ্বের মুসলমান যে ভাবে মার খাচ্ছে ইসরামের সত্রুরা যে ভাবে ঐক্য গড়েছে তাতে মনে হয় আর বেশিদিন দুরে নয় তারা মুসলিম শব্দটা পৃথিবী থেকে মুছে যাবে অথচ মুসলিমগণ হয় ভোগে মত্ত, না হয় বিভাজনের মধ্যেই আছে। নারী তালাক , শিয়া , সুন্নি হায়রে মুসলমান। ইসলামের পক্শের পত্রিকাহিসেবে আপনাদের ঐকের ভূমিকা রাখা উচিৎ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ