নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে দশ জনের দল নিয়ে হেরেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী ৩-২ গোলে হারায় ব্রাদার্সকে। এই জয়ে আবাহনী ৯ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার তৃতীয়স্থানে উঠে আসলো। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে এগারোতম স্থানেই রইলো ব্রাদার্স।
কাল ম্যাচের শুরু থেকেই ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে সমান তালে লড়েছে ব্রাদার্স। গোলের প্রথম সুযোটিও তারাই পেয়েছিলো। ম্যাচের ৬ মিনিটে ডানপ্রান্তে বক্সের বেশ কাছেই ফ্রিকিক পায় গোপীবাগের দলটি। এসময় মিডফিল্ডার মিঠু ভুইয়ার স্পট কিক লাফিয়ে উঠে সরিয়ে দেন আবাহনী গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল। ১০ মিনিটে রায়হানের লম্বা থ্রো বক্সে পেয়ে শট নিতে যান আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ডালিংটন। কিন্তু এর আগেই বল ক্লিয়ার করেন ব্রাদার্সের ডিফেন্ডার ইউসুফ আলী খান। ১৪ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া হয় ব্রাদার্সের। বক্সের বাইরে থেকে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ফাকি দিয়ে বল বাড়িয়ে দেন মিঠু। বক্সে বল পেয়ে ডান পায়ে শট নেন কঙ্গোর ফরোয়ার্ড সিও জোনাপিও। তবে তার শট যথেষ্ট জোড়ালো না হওয়ায় খুব সহজেই বল নিজ আয়ত্বে নেন আবাহনীর গোলরক্ষক। ১৭ মিনিটে ওয়ালী ফয়সালের কর্ণারের উড়ন্ত বলে লাফিয়ে উঠে হেড নেন নাসিরুদ্দিন চৌধুরী। ব্রাদার্সের ডিফেন্ডার আল-আমীন বল ক্লিয়ার করতে শেষ চেষ্টা করেন পোস্টে ঢুকে, কিন্তু তার মাথা ছুয়ে বল প্রবেশ করে জালে। ফলে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী (১-০)। ২১ মিনিটে বক্সে বল পেয়ে জোড়ালো শট নেন ব্রাদার্সের সিও জোনাপিও। কিন্তু এবারো গোলরক্ষক সোহেলকে পরাস্থ করতে ব্যর্থ হন এই ফরোয়ার্ড। ৩৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ঢাকা আবাহনী। ইমন মাহমুদের বাড়িয়ে দেয়া বল বক্সে পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন নাইজেরিয়ান এমেকা ডালিংটন (২-০)। ৪১ মিনিটে ব্রাদার্সের জালে আরও একবার বল পাঠায় লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। কর্ণার থেকে অভিজ্ঞ ওয়ালী ফয়সালের কর্ণার বক্সে পেয়ে হেডে নিজেদের তৃতীয় গোলটি আদায় করে নেন নাবিব নেওয়াজ জীবন (৩-০)। ৪৫ মিনিটে মিঠু ভুইয়ার পাসে আবাহনীর জালে বল পাঠিয়ে ব্যবধান কিছুটা কমান ব্রাদার্সের হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড অগাস্টিন ওয়ালসন (১-৩)।
৫৮ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাদার্স। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে অবৈধভাবে বাধা দেন আরিফ খান জয়। সেই সঙ্গে রেফারী মিজানুর রহমানের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখান রেফারী (লাল কার্ড)। ফলে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় জয়কে।
তবে তাতেও ভেঙ্গে না পড়ে লড়ে যায় ব্রাদার্স। ৮৭ মিনিটে পাল্টা আক্রমন থেকে গোলও আদায় করে নেয় তারা। এসময় ডানপ্রান্ত থেকে বল নিয়ে আবাহনী বক্সে ঢুকে আলতো করে তা তুলে দেন সিও জোনাপিও। বাম পোস্টের কাছ থেকে নিচু হেডে আবাহনীর গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ব্রাদার্সের ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড টুয়াম ফ্রাঙ্ক (৩-২)। দশ জনের দল নিয়ে এভাবে ম্যাচে ফিরে আসা সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি ব্রাদার্সের। পূর্ণ পয়েন্ট খুইয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।