Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

একশ’ একর জমিতে বোরো আবাদ অনিশ্চিত

প্রভাব খাটিয়ে পানির উৎসে বাঁধ নির্মাণ

প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আনোয়ার হোসেন জসিম, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) থেকে : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর সড়কের শাসন গ্রামের একটি ব্রিজের মুখে বাঁধ দেয়ার কারণে এলাকার পাঁচটি গ্রামের প্রায় ১শ’ একর জমিতে বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভূনবীর ইউনিয়নে শ্রীমঙ্গল-মির্জাপুর সড়কে ব্রিজের মুখে বাধ দিয়েছেন শাসন এলাকার নূর হোসেন ও তার ছেলে মসুদ মিয়া। ওই ব্রিজের মুখে মাটি ভরাট করে বাঁধ সৃষ্টি করায় এলাকার শত শত কৃষক পানি সংকটে বোরো চাষ করতে না পারায় এলাকার উত্তেজনা বিরাজ করছে। শাসন গ্রামের কৃষক অমরেন্দ্র ঘোষ জানান, ৫টি গ্রামের কৃষকরা পানির অভাবে বোরো-আমন চাষ ব্যাহত হচ্ছে। শাসন কদমতলা, ইলামপাড়া, দীঘর এলাকাসহ পাহাড়ের পানি এই ব্রিজের নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে থাকে। বোরো চাষি রবেন্দ্র ভট্টাচার্য্য জানান, ইলামপাড়া ও শাসন এলাকার পানি নিষ্কাষণের কোন সুব্যবস্থা নাই। এই ব্রিজের নীচে দিয়ে পানি নিষ্কাষণ হয়। পানি নিষ্কাষণ বন্ধ হলে এক দিকে বন্যা জলাবদ্ধতা দেখা দিবে আর অন্য দিকে পানির অভাবে চাষাবাদ করা সম্ভব হবে না। তিনি উপজেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি বলেন, যদি এই ব্রিজের পানি নিষ্কাশন না হয় তবে এখানে চাষাবাদ সম্ভব হবে না। কৃষক সজল দে জানান যে, পাহাড়ী এলাকার পানি নামলে একদিকে পানি বাধাগ্রস্ত হবে, অন্যদিকে পানি অভাবে ফসল ফলানো সম্ভব হবে না। এভাবে সরকারের জায়গা জবর দখল করে বাঁধ সৃষ্টি করায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই। এ প্রসঙ্গে শাসন গ্রামের বাসিন্দা ব্রিজের মুখে বাধ সৃষ্টিকারী নুর হোসেন জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবগত করে ব্রিজের মুখে বাঁধ দিয়েছি। তিনি ব্রিজের বাঁধ দেখে গেছেন। যদি চেয়ারম্যান বলেন, তবে বাঁধ আমি ভেঙ্গে দিব। ভূনবীর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয় আমি অবগত আছি কিন্তু আমার কাছে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে বাধটি আমার চোখে পরলে পরে নুর হোসেনকে বাধটি সরিয়ে নেয়ার কথা বলি, সে বাঁধটি সরিয়ে নেবে বলে আমাকে জানায়। যদি বাঁধটি না সরানো হয় তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুকল্প দাস মুঠোফোনে বলেন, এনিয়ে উপজেলা সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে বাঁধ সরানো জন্য এবং উপজেলা প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। যদি বাঁধটি সরানো না হয় তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো। এ প্রসঙ্গে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল হক মুঠোফোনে জানান, এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে এরকম একটি অভিযোগ আজকেই আমি পেয়েছি। বাঁধ অপসারণ করতে সরেজমিন এলাকায় যাবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: একশ’ একর জমিতে বোরো আবাদ অনিশ্চিত
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ