Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যৌন নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের প্রকৃত সংখ্যা জানা কঠিন : জাতিসংঘ

| প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা নারীদের এ বিপুল সংখ্যা বাস্তব পরিস্থিতির নমুনামাত্র বলে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক তহবিল (ইউএনএফপিএ)। সংস্থাটির আশঙ্কা, প্রকৃতপক্ষে মিয়ানমারে যৌন নিপীড়নের শিকার নারীর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। ‘লজ্জা’ ও ‘নিরাপত্তা সংকটের’ ভয়ে অনেকে তাদের নিপীড়িত হওয়ার কথা জানাচ্ছেন বলে ধারণা করছে ইউএনএফপিএ। মানবিক সংকট ও জরুরি পরিস্থিতির মধ্যে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা নিয়ে কাজ করে থাকে ইউএনএফপিএ। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৪,৮০,০০০ এরও বেশি রোহিঙ্গার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও বালিকা। এর মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার নারীর বয়স প্রজননক্ষম বয়সসীমায় আছে। আর ২৪ হাজার নারীর মধ্যে কেউ কেউ অন্তঃসত্ত¡া আবার কেউ কেউ নবজাতকের মা। ইউএনএফপিএ জানায়, ৭ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা নারী শরণার্থীকে তারা চিকিৎসা ও মানসিক পরামর্শ সেবা দিয়েছে। সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ, পরিচয় গোপনের ইচ্ছা, লজ্জা এবং তথাকথিত কলঙ্কের ভয়ে অনেকে তাদের নিপীড়নের কথা জানাতে চান না। আর সেকারণে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার যথাযথ সংখ্যা বের করাটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। ইউএনএফপিএ আরও জানায়, সংস্থাটি পাঁচটি নারী-বান্ধব এলাকা প্রতিষ্ঠা করেছে। এসব স্থানে নারীরা যেকোনও সময় নিরাপত্তা চাইতে পারবে এবং তথ্য, শিক্ষা, সমর্থন ও অন্যান্য সেবা নিতে পারবে। বছরের শেষ নাগাদ এ ধরনের নারী-বান্ধব এলাকা’র সংখ্যা ১৫টিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে ইউএনএফপিএ’র। রয়টার্স।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ