নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্বাগতিক ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের কাজটা সেরে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু অপর ম্যাচে ভারতকে একই ব্যবধানে হারিয়ে বাংলাদেশের সমান পয়েন্ট নিয়েও মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় অনুর্ধ্ব-১৮ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা দখলে নিয়েছে নেপাল। রানার্সআপ হয়েই তাই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। আর ভারত পেয়েছে তৃতীয়স্থান।
দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও ভুটান। সুযোগ্য স্ট্রাইকারের অভাবে গোলের দেখা পাচ্ছিল না কোন দলই। অবশেষে মাঠে নামেন বাংলাদেশের কৃতি স্ট্রাইকার জাফর ইকবাল। ৫৪তম মিনিটে স্বাধীনের বদলি হিসেবে মাঠে নেমে সবাইকে চমকে দেন জাফর। মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে দু’গোল করে বাংলাদেশকে শুধু জয়ই নয় শিরোপা জেতারও স্বপ্ন দেখান জাফর।
ম্যাচের শুরু থেকেই ভুটানের রক্ষনভাগের উপর চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে বাংলাদেশ তবে নিজেদের মাঠে প্রায় তিন হাজার সমর্থকের উপস্থিতিতে ৭৮ মিনিট পর্যন্ত বাংলাদেশকে আটকে রাখে ভুটান। ধারাবাহিক আক্রমনের মুখে ম্যাচের ২৪তম মিনিটে গোলের প্রথম সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ। এসময় বামপ্রান্ত থেকে মাহবুবুর রহমান ক্রস করলে বলে মাথা লাগাতে ব্যর্থ হন স্বাধীন। ২৫তম মিনিটে পাল্টা আক্রমনে গিয়ে ভুটানি মিডফিল্ডার ওরজিন ওয়াংচুক বক্সের ভিতর থেকে শট নিলে বাংলাদেশ গোলরক্ষক লিংকন বল গ্রিপে নেন। ২৮ মিনিটে ওরজিন আরও একবার ব্যর্থ হন। এসময় গোলরক্ষক লিংকনকে একা পেয়েও তিনি গোল করতে পারেননি। ওরজিনের শট ফিস্ট করে ফেরান লিংকন। ফলে গোলশূন্য অবস্থায় ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয়।
দ্বিতীয়াধের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে লড়তে থাকে বাংলাদেশের যুবারা। বিরতির পর ৬৩ মিনিটে ডানপ্রান্তে মাহবুব ক্রস করলে বক্সের ভেতর থেকে মুন্না শট নেন। কিন্তু বল সাইডবার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৬৫তম মিনিটে বক্সের বাইরে আল আমিন শট নিলে ভুটানি গোলরক্ষক ফিস্ট করেন। ফিরতি বলে মাহবুব শট নেন। ভুটানি গোলকিপার কর্নারের বিনিময়ে তা রক্ষা করেন। ৭৩ মিনিটে বামপ্রান্ত থেকে বাংলাদেশের রহমত থ্রো করেন। ছোট বক্সের ভিতর কিরন বল পেয়ে শটও নেন। কিন্তু তার শট ভুটানি গোলরক্ষকের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। এরপরই আসে সেই আনন্দঘন মুহুর্ত। জাফর ইকবালের নজরকাড়া পারফরর্মেন্সে গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বাদশা ডানপ্রান্তে জাফর ইকবালকে পাস দেন। বল ধরে এগিয়ে প্রতিপক্ষের ডিবক্সে ঢুকে চোখজুড়ানো কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্থ করেন জাফর (১-০)। ৫ মিনিট না যেতেই ভুটানের জালে দ্বিতীয়বার বল পাঠিয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করে বাংলাদেশ। এবারের গোলটিও আসে জাফরের পা থেকে। এসময় পাল্টা আক্রমন থেকে বল পেয়ে বামপ্রান্ত থেকে বিপুল বাড়িয়ে দেন জাফরকে। প্রতিপক্ষ দলের ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে আবারও কোনাকুনি শটে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন জাফর। বাকি সময় আর কোন গোল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
পরের ম্যাচে প্রথমার্ধেই ভারতের বিপক্ষে ২-০ গোলে লিড নেয় নেপাল। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোন গোল হয়নি। বিজয়ী দলের হয় দুটি গোলই করেন দীনেশ। ভারত জিতলে অথবা ম্যাচ ড্র হলেই চ্যাম্পিয়ন হত বাংলাদেশ। তবে রানার্সঅপের সাথে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরষ্কার পেয়েছে বাংলাদেশ। ৫ গোল করে বাংলাদেশের জাফর ইকবাল হয়েছেন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ফেয়ার প্লে ট্রফি পায় ভুটান।
একনজরে
চ্যাম্পিয়ন : নেপাল
রানার্স আপ : বাংলাদেশ
তৃতীয় স্থান : ভারত
ফেয়ার প্লে : ভুটান
সর্বোচ্চ গোলদাতা : জাফর ইকবাল (৫), বাংলাদেশ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।