মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কাতারে ২০২২ সালে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে বিভিন্ন স্থাপনায় কাজ করছেন হাজার হাজার শ্রমিক। প্রচন্ড গরমের দিনে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে কাজ করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে তাঁদের। সেখানে তীব্র তাপদাহে বহু শ্রমিক আছেন মৃত্যুঝুঁকিতে। নির্মাণশ্রমিকদের অনেকে মারাও গেছেন। তবে ঠিক কী কারণে, তাঁদের মৃত্যু হয়েছে, সে ব্যাপারে স্বচ্ছ কোনো তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি কাতার সরকার। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডবিøউ) এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। ওই গবেষণায় কাতারসহ উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (জিসিসি) সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে প্রচন্ড গরমে কাজ করা শ্রমিকদের অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়, ২০১২ সালে কাতার সরকার ৫২০ জনের মৃত্যুর তালিকা প্রকাশ করে। তাদের মধ্যে ৩৮৫ জনের মৃত্যুর কারণই উল্লেখ নেই কিংবা কেন মারা গেল, তা তদন্ত করে দেখেনি দেশটির সরকার। এইচআরডবিøউর গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মাত্রাতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে প্রতি বছর হাজারো শ্রমিক মারা যায়। কিন্তু কাতার সরকার এ বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য প্রকাশ করে না এবং মৃত্যুর কারণও খতিয়ে দেখে না দেশটি। ২০১৬ সালের কাতার সরকার জানায়, ওই সময়ে ৩৫ জন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর অধিকাংশের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে যাওয়া। তবে দেশটির দূতাবাস ও সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এইচআরডবিøউ বলছে, হার্ট অ্যাটাক ও অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়, যা কাতার সরকার জানায়নি। ২০২২ সালে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ ফুটবলের নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে এ বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ জনের মতো নির্মাণ-শ্রমিক মারা যায় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে মৃত্যুর বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করা হলেও সেগুলো ভিত্তিহীন। তাদের মৃত্যুর মূল কারণ হৃদরোগ। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার দরিদ্র দেশগুলো থেকে প্রায় আট লাখ লোক কাতারে কাজ করতে এসেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। শ্রমিকদের নিয়ে করা এই প্রকল্পের অন্যতম গবেষক নিকোলাস ম্যাকজিহান বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধিজনিত কারণে যেসব মৃত্যু হচ্ছে সেগুলো না লুকিয়ে সরকারের উচিত এ নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করা। তা নাহলে মৃত্যুর হার দিন দিন বাড়তেই থাকবে। দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।