পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে করা উচিত বলে মনে করেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ে আলোচনার বদলে তা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে করা উচিত। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ‘দশম কারামুক্তি দিবস’ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সংগঠনটি।
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, “আমরা এই কথা বলতে চাই, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মীমাংসা হওয়া দরকার। দ্বি-পক্ষীয় আলোচনার জন্য অনেক কথা আসছে, আমার মনে হয় না দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মিয়ানমারকে তাদের রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জায়গায় আনা যাবে। তাদের আমরা আহŸান করলে তারা (মিয়ানমার) আসবে, একথা আমরা মনে করি না। আজকে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের অনির্বাচিত সরকারকে আরো বলিষ্ঠভাবে বলতে হবে যে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত নিতে হবে, তাদের যে অধিকার সেই অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির দেখে আসা এই বিএনপি নেতা বলেন, সেখানে মুসলিম-হিন্দু রোহিঙ্গারা যেভাবে দিন কাটাচ্ছে, এটা মানবেতর জীবন-যাপন। এই মানবেতর জীবন-যাপনে মানুষজন থাকতে পারে না। পশুকে যেভাবে আমরা রাখি, যেভাবে যে অবস্থানে রাখি, আজকে রোহিঙ্গারাও সেখানে অধম অবস্থায় দিনকাল অতিবাহিত করছে। এটার পরিবর্তন দরকার। রোহিঙ্গা সঙ্কটের বিষয়ে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নোমান বলেন, ১০ লাখ রোহিঙ্গা সমস্যায় বাংলাদেশ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা লক্ষ্য করলাম যে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় নাই। নিরাপত্তা পরিষদে যে দাবি জানানো দরকার ছিল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে, সেই দাবিও জানানো হয় নাই। এই পরিষদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার যে ক্ষমতা, যেটা ম্যান্ডেটরি হচ্ছে সমস্ত সদস্য দেশগুলোর- সেই জায়গায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কোনো বক্তব্য রাখেননি। অর্থাৎ আমাদের দেশে যে রোহিঙ্গাদের সঙ্কটটা সৃষ্টি হয়েছে, সেটা নিয়ে আমাদের দেশের নেতৃত্ব খুব একটা বেশি চিন্তাভাবনা করছে না। রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উল্টোপথে গাড়ি চালানোর রোধে শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, পত্রিকায় দেখলাম, উল্টোপথে ৪০টা গাড়ি চলার কারণে তাদের জরিমানা করা হয়েছে। ওইসব গাড়ি আওয়ামী লীগের নেতা, সরকারের মন্ত্রী ও সচিবদের। একজন সচিবের কথা আজকের পত্রিকায় উল্লেখও করা হয়েছে। দেশের যে আইনের শাসন, যারা আইন রচনা করছেন, তারাই আইন মানছেন না। সচিবরা হচ্ছেন এক্সিকিউটিভ ওয়ার্কে প্রধান। তারা আজকে এই নিয়ম ভঙ্গ করছেন। আমি মনে করি এসবের জন্য শাস্তির বিধান প্রয়োজন। যদি শাস্তি হয় কয়েজনের, তাহলে অন্যরা সেখান থেকে পেছনে চলে আসবে। নোমান বলেন, রাস্তায় সাধারণ মানুষ সবচেয়ে দোষের মুখে পড়েন বেশি। রাস্তার এদিক থেকে ওদিকে গেলে তাদেরকে পু্লশি ধরে নিয়ে যায়। কিন্তু যেসব সচিবের গাড়ি উল্টোপথে গেল, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা গ্রহণ করল- এটা আমরা জানতে চাই।
ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা মাইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সভাপতি সাইদুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ এবং জাসাস সহসভাপতি শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।